বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কিংবদন্তি অভিনেত্রী ববিতা। অসংখ্য কালজয়ী সিনেমায় অভিনয় করে দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছেন দেশ ও দেশের বাইরে।
অভিনয়গুণে দর্শক মনে স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছেন। তবে দীর্ঘদিন ববিতাকে বড় পর্দায় দেখছেন না তার ভক্তরা। এখন অভিনয় থেকে অনেকটাই দূরে রয়েছেন তিনি।
বেশিভাগ সময় থাকেন কানাডায় ছেলের কাছে অথবা আমেরিকায় ভাইদের কাছে। কিছু দিন আগে দীর্ঘ সময় কাটিয়ে দেশে এসেছেন এ অভিনেত্রী। সুযোগ হলেই ফিরবেন আবার অভিনয়ে, দর্শকরা তাকে আবারও পর্দায় দেখতে পাবে এমন আশার কথাই শোনালেন তিনি।
বলেছেন, ‘আমাকে কেন্দ্র করে গল্প তৈরি করা হলে অবশ্যই অভিনয় করব। অভিনয়কে আমি কখনোই বিদায় বলতে পারি না।’
ববিতা আরও বলেন, ‘এখন যেসব চরিত্রের জন্য আমাকে বলা হয়, এগুলো করতে আমি অভ্যস্ত নই। মাঝে শাকিব খানের একটি সিনেমার জন্য আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সিনেমার শুটিং আমেরিকা, কানাডায় নাকি হওয়ার কথা ছিল। আমি নিষেধ করে দিয়েছি। শুধু মায়ের চরিত্রে অভিনয় করতে চাই না। কেউ যদি আমাকে কেন্দ্র করে গল্প তৈরি করে তাহলে অবশ্যই অভিনয় করব। কারণ, পাশের দেশগুলোতে দেখেন, অমিতাভ বচ্চন এ বয়সেও কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করছে। শ্রীদেবী মৃত্যুর আগেও প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছে। কিন্তু আমাদের দেশে এ চর্চাটা নেই। সবাই মনে করে বয়স হয়ে গেলেই নায়কের বাবা-মার চরিত্র ছাড়া আমাদের আর কোনো চরিত্র নেই। তাই আমি সিনেমায় নেই। ভালো এবং মনের মতো গল্প হলে অবশ্যই সিনেমায় আমাকে দেখবে দর্শক।’
দেশে ফিরে পরিবারের সঙ্গেই এখন সময় কাটছে ববিতার। নিজের ভাইয়েরা ও তাদের ছেলেমেয়ে, বোনের ছেলেমেয়ে সবাইকে নিয়ে সুন্দর সময় কাটছে তার। তিনি বলেন, ‘অনেক বছর পর দাদাবাড়িতে গিয়েছিলাম। সেখানে আমরা একটি মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা করেছি ভাইবোনেরা মিলে।’
এছাড়া বাপ-দাদার মাটিতে পা দিলে যে শান্তি, সেই শান্তি পৃথিবীর কোথাও নেই। কারণ এখনো বাড়িতে গেলে আশপাশের লোকজন আত্মীয়স্বজনের কাছে যেভাবে ভালোবাসা পাই, তাতেই হৃদয় জুড়ে যায়। এখন দেশে এভাবেই সময় কাটছে।’ উল্লেখ্য, ববিতাকে শেষবার দেখা গেছে নারগিস আক্তারের ‘পুত্র এখন পয়সাওয়ালা’ সিনেমায়।