চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদের পরিবারে শোকের মাতম চলছে। মানিকগঞ্জ শহরের পশ্চিম দাশড়া এলাকার পৌরভূমি অফিসের সামনের গোল্ডেন টাওয়ারের সাততলায় জাওয়াদের মা নিলুফা আক্তার খানমের গগন বিদারী কান্নার পাশাপাশি এলাকার মানুষও কাঁদছে। নিলুফা আক্তার বিলাপ করছেন আর বলছেন, ‘আমি আছি অথচ আমার ছেলে নাই এ কেমন কথা! আমারে মাটি দিব আমার ছেলে, আর এখন আমাকে দিতে হইব তাকে মাটি!’
তিনি আরও বলেন, ‘ছেলে প্রতিদিন সকালে ফোন করে। কিন্তু আজ এখন পর্যন্ত ফোন দেয়নি। কখন আসবে জাওয়াদের ফোন!’-তার এই আহাজারি কোনোভাবে সামাল দিতে পারছেন না স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীরা।
নিলুফা আক্তারের একমাত্র সন্তান ছিলেন আসিম জাওয়াদ। বাবা ডাক্তার আমানুল্লাহ নবীনগর এলাকায় একটি বেসরকারি কারখানায় কর্মরত। একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে তিনিও পাগলপ্রায়।
জাওয়াদের খালাতো ভাই রাজিব হোসেন জানান, জাওয়াদের ছয় বছরের এক কন্যা সন্তান ও ছয় মাসের এক পুত্র সন্তান রয়েছে। স্ত্রী রিফাত ও সন্তানদের নিয়ে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় থাকতেন জাওয়াদ।
জাওয়াদের বড় মামা সাংবাদিক সুরুয খান জানান, অত্যন্ত মেধাবী ছিল জাওয়াদ। স্কুল ও কলেজজীবনে সব সময় প্রথম হয়েছে। ছোটবেলা থেকে জাওয়াদের স্বপ্ন ছিল পাইলট হবে। আর বাবা-মায়ের ইচ্ছা ছিল ডাক্তার কিংবা প্রকৌশলী হবে। পরে পরিবার জাওয়াদের ইচ্ছাকে সমর্থন জানায়। স্বপ্নপূরণ হয়ে পাইলটও হয়েছিল জাওয়াদ। কিন্তু সেই ছেলে আজ সবাইকে ফাঁকি দিয়ে চলে গেল। আজ শুক্রবার জাওয়াদের লাশ মানিকগঞ্জে পৌঁছবে বলে জানান তিনি।