ঢাকা: ঈদে ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে পাটুরিয়া ঘাটে। রোববার থেকে ভিড় বেড়েছে। সোমবার সকালেও অনেক ভিড় দেখা গেছে। ঘাট এলাকার কোথাও পা রাখার ঠাঁই নেই। যাত্রীরা লঞ্চে ওঠতে না পেরে ফেরিতে পদ্মা ও যমুনা নদী পার হতে বাধ্য হচ্ছেন।
অনেক যাত্রী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাদাগাদি করে লঞ্চেই যাচ্ছেন। ভিড়ের কারণে ফেরিতে কাটা লাইন (ঘাট পর্যন্ত চলাচল) বাসের যাত্রীদেরই বেশি পারাপার করছে কর্তৃপক্ষ। ঘাট এলাকাকে যানজট মুক্ত রাখতে যাত্রীদের লঞ্চ ঘাট থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে বাস থেকে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ফলে যাত্রীদের প্রায় আধা কিলোমিটার পায়ে হেঁটে লঞ্চ ও ফেরিতে ওঠতে হচ্ছে।
আজ সোমবার সকালে পাটুরিয়া ঘাট এলাকা ঘুরে ফেরি পারাপারের যানবাহনের চেয়ে কাটা লাইনের বাসের যাত্রী বেশি দেখা গেছে। ফেরি পারাপারের যানবাহনগুলো ঘাটে এসেই সরাসরি ফেরিতে ওঠে পারাপার হচ্ছে। তবে লঞ্চের যাত্রীদের ভিড় বেশি দেখা গেছে।
ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতি বছর যাত্রীদের ঘাটে এসে ফেরি পারাপার হওয়ার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকতে হয়। এতে তাদের দুর্ভোগ হয়। এ কারণে এবার ঈদে যাত্রীরা ফেরি পারাপারের বাসে কম এসে লঞ্চ পারাপার (কাটা লাইন) বাসে বেশি যাচ্ছেন। আর এ সুযোগে দুর্নীতিবাজ লঞ্চ মালিক শ্রমিকরা লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী পারাপার করছেন বলে যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন। যদিও এ অভিযোগ লঞ্চ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল রহিম খান অস্বীকার করেন।
বিআইডবিøউটিসির আরিচা অফিসের খালেদ নেওয়াজ জানান, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুটে ১৫টি ফেরি, ২২টি লঞ্চ ও আরিচা-কাজীর হাট নৌ-রুটে ৫টি ফেরি ও ১০টি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। এ কারণে ঘাট এলাকায় এবার যানজট হয়নি। লঞ্চ পারাপারে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়ের কারণে তাদের ফেরিতে পারাপার করা হচ্ছে।
শিবালয় থানার ওসি আব্দুর রউফ সরকার বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য নবীনগর থেকে পাটুরিয়া ও আরিচা ঘাট পর্যন্ত প্রায় এক হাজার পুলিশ, র্যাব, আনসারসহ বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন নিয়োজিত আছে। ঘাটে এসে যাত্রীরা নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন।