জমজমাট ঈদ কেনাকাটা

0
142

ঢাকা: ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ক্রেতাদের ভিড়ে জমজমাট হয়ে উঠেছে রাজধানীর বাজারগুলো। নামিদামি শপিং মল থেকে শুরু করে মাঝারি এবং ছোট পরিসরের দোকানেও জমে উঠেছে কেনাকাটা। গতকাল রাজধানীর নিউমার্কেট, গাউসিয়া, বসুন্ধরা সিটি শপিং মল, মৌচাক মার্কেটের বিপণিবিতানগুলো ক্রেতাদের উপস্থিতিতে ছিল সরগরম।
এবার ঈদের আমেজের মধ্যেই আসছে পয়লা বৈশাখ। চাঁদ দেখা যাওয়া সাপেক্ষে ঈদের দুই দিন বাদেই বাংলা নববর্ষ আসছে। যে কারণে এবার ঈদ ও বৈশাখের কেনাকাটা একসঙ্গে কিনছেন অনেকেই। গরম এবং উৎসবের কথা মাথায় রেখে পাতলা নরম কাপড়ের মধ্যে বাহারি রঙের পোশাক কিনছেন অধিকাংশ ক্রেতা। পরিবারের পাশাপাশি আত্মীয়স্বজনকে উপহার দিতে চলছে কেনাকাটা।
ঈদ কেনাকাটায় রাজধানীবাসীর আস্থার জায়গা বসুন্ধরা সিটি শপিং মল। গতকাল শপিং মল ঘুরে দেখা যায়, আট তলা মার্কেটের প্রতিটি তলাই লোকে লোকারণ্য। সবচেয়ে বেশি ভিড় পোশাকের দোকানগুলোতে। শপিং মলে পরিবার নিয়ে কেনাকাটা করতে এসেছিলেন মাজহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ঈদ উপলক্ষে আজই প্রথম কেনাকাটা করতে এলাম পরিবার নিয়ে। সব বয়সী মানুষের বিভিন্ন দামের পোশাক থেকে শুরু করে চাহিদামতো সব সামগ্রীই এখানে পাওয়া যায়।
ঈদ বাজারের বিক্রির বিষয়ে ফ্যাশন হাউস দর্জিবাড়ির বিক্রয়কর্মী জাহিদুল ইসলাম বলেন, এবার রোজার শুরু থেকেই বেশ ভালো বিক্রি হচ্ছে। আমরা যতটা আশা করছি তার চেয়ে বেশি ক্রেতাদের সাড়া পাচ্ছি। আমাদের আরও আউটলেট রয়েছে সারা দেশে তবে বসুন্ধরা সিটিতেই সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়। আমাদের এখানে পাঞ্জাবি সবচেয়ে বেশি চলছে। পাশাপাশি ক্যাজুয়াল শার্টও বিক্রি হচ্ছে।
জ্যোতি ফ্যাশনের ম্যানেজার আরিফ হোসেন বলেন, গত বছর থেকে এই বছর ঈদ উপলক্ষে বসুন্ধরা সিটিতে কেনাবেচা বেশি হচ্ছে। শুক্র-শনিবার বা ছুটির দিনগুলোতে ভালো বেচাকেনা হয়। এ বছর অরগাঞ্জা, মসলিনের ওপর শাড়িগুলো অনেক বেশি চলছে। পাশাপাশি গাদওয়াল, কাঞ্জিপুরাম শাড়িগুলো ক্রেতারা খুব পছন্দ করছে। পার্টি লেহেঙ্গা, গাউনও বেশ ভালো বিক্রি হচ্ছে। তিনি আরও জানান, কাপল ড্রেস ৬ হাজার থেকে ১২ হাজার, গাউন ১০ হাজার থেকে ৩০ হাজার, সারারা বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকায়।
বসুন্ধরা সিটিতে জুতার দোকানগুলোতেও ছিল নানান বয়সী মানুষের ভিড়। বাটার বিক্রয়কর্মী জমসেদ মজুমদার জানান, রমজানের শুরু থেকেই তাদের কেনাবেচা একেবারে খারাপ ছিল না। তবে এখন ঈদের সময় যত ঘনিয়ে আসছে বিক্রি তত বাড়ছে। সামনে বিক্রি আরও বাড়বে বলে জানান তিনি।
নিউমার্কেট ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতাদের ভিড়ে ব্যবসায়ীদের যেন দম ফেলার ফুসরত নেই। নিউমার্কেট থেকে মেয়ের জন্য থ্রিপিস কিনেছেন হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় দাম কমপক্ষে ১৫ শতাংশ বেশি মনে হয়েছে পোশাকের। তবে কষ্ট করে হলেও ঈদের সময় পরিবারের সদস্যদের জন্য নতুন পোশাক কিনতে হবে।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here