লা লিগায় জয়ের ধারাই চলছেই বার্সালোনার। টানা ষষ্ঠ ম্যাচে জয় পেয়েছে কাতালানরা। রোববার ভিয়ারিয়ালের মাঠে ভিয়ারিয়ালকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে তারা। ধরে রেখেছে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান।
লা লিগায় প্রথম পাঁচ ম্যাচে টানা জয় পেলেও গত সপ্তাহে চ্যাম্পিয়ন্স লিগেরম্যাচে মোনাকোর কাছে হেরে বসে বার্সেলোনা। তবে সেই হারের ধাক্কা বড় হতে দেয়নি লেভানডফস্কিরা। লা লিগায় ধরে রেখেছে জয়ের ধারা।
রোববার বার্সা সহজ জয় পেলেও ম্যাচটা ছিল ঘটনাবহুল। পেনাল্টি মিস করে হ্যাটট্রিকের সুযোগ নষ্ট করেছেন লেভানডফস্কি। ভিয়ারিয়ালের গোল বাতিল হয়েছে ভিএআরে। আর বার্সা গোলরক্ষক টের স্টেগান হাঁটুতে মারাত্মক চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন স্ট্রেচারে করে।
অবশ্য প্রথম সুযোগ পায় ভিয়ারিয়ালই, তবে নিকোলাস পেপে জালের দেখা পাননি। অষ্টম মিনিটে তাদের ইয়েরেমি পিনো বার্সার জালে বল পাঠালেও অফসাইডের কারণে গোল মেলেনি। যদিও এরপর থেকে খেলা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় বার্সা।
ইয়ামাল বেশ কয়েকটি সুযোগ কাজে লাগাতে না পারলেও ২০ মিনিটে ঠিকই এগিয়ে যায় বার্সা। পাবলো তোরের দারুণ থ্রুতে দলকে এগিয়ে নেন লেভানডফস্কি। আট মিনিট পর দ্বিতীয় গোলটিও পেতে পারতেন তিনি। তবে এবার তার প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক।
যদিও ৩৫তম মিনিটে ঠিকই দ্বিতীয় গোল পেয়ে যান লেভানডফস্কি। ইয়ামালের ক্রসে এরিক গার্সিয়ার হেড গোলরক্ষক ঠেকানোর পর ফিরতি বলে ওভারহেড কিকে জালে পাঠান তিনি।
তবে এই আনন্দ দীর্ঘস্থায়ী হবার আগেই ব্যবধান কমায় ভিয়ারিয়াল। পেপের পাসে ঠিকানা খুঁজে নেন পেরেস। ২-১ ব্যবধান ধরে রেখেই বিরতিতে যায় বার্সা। তবে এর আগেই কর্নার থেকে আসা বল নিয়ন্ত্রণে নিতে গিয়ে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন স্টেগান।
দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটে সমতা ফিরিয়েই ফেলেছিল স্বাগতিকরা। তবে পেপে বার্সেলোনার জালে বল পাঠালেও তা অফসাইডের কারণে বাতিল হয়। উল্টো ৫৮তম মিনিটে দুই গোলের লিড পুনরুদ্ধার করেন তোরে। পেদ্রির পাস থেকে গোল করেন তিনি।
ব্যবধান ৪-১ হতে পারতো ৬৪তম মিনিটেই। ইয়ামাল ভিয়ারেয়ালের বক্সে ফাউলের শিকার হলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টি দেন রেফারি। কিন্তু স্পট কিকে বল পোস্টে মারেন লেভানডফস্কি। ফলে সুযোগ হারায় বার্সা।
এদিকে অফসাইড ভাগ্য যেন এদিন পেয়ে বসেছিল ভিয়ারিয়ালকে। ৬৮তম মিনিটে ম্যাচে তৃতীয়বারের মতো বল জালে জড়িয়েও উল্লাস করতে পারেনি স্বাগতিকেরা। অন্যথায় ম্যাচের ফল ভিন্ন হতে পারতো।
৭৪তম মিনিটে স্কোরলাইন ৪-১ করেন রাফিনিয়া। বক্সে পাউ ভিক্টরের পাস পেয়ে জোরাল শট নেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড, প্রতিপক্ষের একজনের পায়ে লেগে বল জালে জড়ায়। শেষ গোলটাও আসে তা পা থেকেই।
৮৩তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলের দেখা পান তিনি। ম্যাচজুড়ে দারুণ খেলা ইয়ামাল চমৎকারভাবে উঁচু করে বল বাড়ান বক্সে, ছুটে গিয়ে বাঁ পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন রাফিনিয়া। জোড়া গোল পূরণ হয় তার।
এই জয়ে ৬ ম্যাচে শতভাগ সাফল্যে বার্সেলোনার পয়েন্ট হলো ১৮। সমান ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে শিরোপাধারী রিয়াল মাদ্রিদ। ১১ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ নম্বরে আছে ভিয়ারিয়াল।