বলিউড-টালিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী চলতি বছরের শুরুর দিকে পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মানের পর এবার তার ঝুলিতে এলো দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার। আজ ৩০ সেপ্টেম্বর সেই কথা ঘোষণা করেছেন মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
এ কথা ছড়িয়ে পড়তেই বাঁধভাঙা উচ্ছ¡াসে ভাসছে টালিউড। টিভি ৯ বাংলাকে এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানালেন অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, পরমব্রতরা।
মিঠুন চক্রবর্তী দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পেতেই যে প্রতিক্রিয়া জানালেন টালিউড অভিনেতা-অভিনেত্রীরাÑ
এদিন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত এ বিষয়ে জানান, ‘ভীষণ আনন্দ হচ্ছে। এই সম্মান, এই পুরস্কার মিঠুন দার প্রাপ্য। আমাদের কাছে দাদা অনুপ্রেরণা। স¤প্রতি আমি মিঠুন দার কাবুলিওয়ালা দেখে খুব কেঁদেছি। উনি আমাদের দেশের গর্ব।’ প্রসঙ্গত ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে একাধিক ছবিতে কাজ করেছেন।
এদিন মহাগুরুর আরেক সহ-অভিনেতা তথা আজকের বার্থডে বয় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ও ভীষণ খুশি এই খবরে। তার জন্মদিনের দিনই এমন সুখবর আসায় তিনি জানান, ‘এ মুহূর্তটাকে আমাদের উচিত সবার উদযাপন করা। আমি ব্যক্তিগতভাবে ওর ভীষণ বড় ভক্ত। যে মানুষটা ডিস্কো ড্যান্সার থেকে তাহাদের কথা করতে পারে, সে আমার কাছে অনুপ্রেরণা। এত বছর ধরে নিজের অভিনয়ের গুণে তিনি তার এই জায়গা তৈরি করেছেন। দেশের অন্যতম সেরা অভিনেতা তিনি। দাদাকে আমার প্রণাম।’
রুদ্রনীল ঘোষের কথায় মিঠুন চক্রবর্তী যে সম্মান পেয়েছেন, সেটা খুব কমসংখ্যক অভিনেতাই তার জীবনে পান বা তাদের ভাগ্যে থাকে। তার কাছে এটা দারুণ খুশির খবর। একই সুর শোনা গেল পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের গলাতেও। তার কথায়Ñ ‘যেদিন থেকে সিনেমা বুঝতে শিখেছি, জ্ঞান হয়েছে দাদার কাজ দেখেছি। উনি এখনো সেই একই উদ্যম নিয়েই কাজ করেন।’
মিঠুন চক্রবর্তী নিজে এদিন এ পুরস্কার পেয়ে এএসআইকে জানিয়েছেন, তিনি ভাষা খুঁজে পাচ্ছেন না বলার মতো। বাকরুদ্ধ হয়ে গেছেন। এত বড় সম্মান পেয়ে তিনি না পারছেন হাসতে, না পারছেন কাঁদতে। এই পুরস্কার তিনি তার পরিবার এবং ভক্তদের উৎসর্গ করেছেন।