বর্তমানে দেশ থেকে আইনের শাসন ও সুশাসন উধাও হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় অন্যায়ভাবে সাজাপ্রাপ্ত যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর জামিন নামঞ্জুর ও কারাগারে প্রেরণ, মিথ্যা মামলায় বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এস এম ওবায়দুল হক নাসিরের জামিন নামঞ্জুর ও কারাগারে প্রেরণ, হাইকোর্টের জামিন শেষে আজ কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদসহ অন্যান্য নেতাদের জামিন নামঞ্জুর ও কারাগারে প্রেরণ এবং রাজশাহী জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক ছাত্রনেতা সাদ্দাম হোসেনের জামিন নামঞ্জুর ও কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি এ বিবৃতি দেন।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ৭ জানুয়ারী ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী এখন আরো বেশি মাত্রায় বেপরোয়া, কতৃর্ত্ববাদী ও জুলুমবাজ হয়ে উঠেছে। অবৈধ রাষ্ট্রক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ গণতন্ত্রমনা বিরোধী দল এবং ভিন্ন মত ও পথের মানুষদের ওপর দমনপীড়নের খড়গ নামিয়ে এনেছে দখলদার সরকার।
জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর ঘটনা চলমান আওয়ামী দমনপীড়নেরই ধারাবাহিকতা।
তিনি বলেন, বিরোধী নেতা-কর্মীদের কারাগারে পাঠানোর মাধ্যমে গোটা দেশটাকে বন্দীশালা বানানো হয়েছে। বর্তমানে দেশ থেকে আইনের শাসন ও সুশাসন উধাও হয়ে গেছে বলেই গণতান্ত্রিক সংগ্রামে অংশগ্রহণরত নেতা-কর্মীরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। দেশে এক সর্বগ্রাসী অরাজকতার ডালপালা বিস্তারলাভ করেছে। আওয়ামী অবৈধ শাসকগোষ্ঠী তাদের দুঃশাসন প্রলম্বিত করতেই শহর থেকে গ্রাম সর্বত্র ভীতি ও আতঙ্ক ছড়িয়ে দিচ্ছে।
সরকারের মদদে বিরোধী নেতা-কর্মীদেরকে মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশী সাজা প্রদানসহ জামিন নামঞ্জুরের মাধ্যমে কারান্তরীণ করার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং অবিলম্বে যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য এস এম ওবায়দুল হক নাসিরসহ উল্লিখিত নেতাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।