নিউইয়র্ক : নিউইয়র্কে বাংলাদেশ সোসাইটির আসন্ন নির্বাচনে সদস্যপদ নবায়ন এবং নতুন সদস্য পদ গ্রহনের শেষ সময় গত ৩০ জুন ছিল। এই সময়ের মধ্যে যারা সদস্য হয়েছেন তারাই আগামী ২৭ অক্টোবরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোটধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। আনুষ্ঠানিকভাবে সোসাইটির মোট ভোটার সংখ্যা ১৮,৬০০ প্রকাশের পর ২৮২ জন ভোটার নিয়ে আপত্তি তোলেন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারি সেলিম-আলী পরিষদ। ১৮ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন আরও ৩০৭ ভোটার সংযোজন দেখিয়ে নতুন ভোটার তালিকা প্রকাশ করে। এতে তীব্র আপত্তি তোলেন আতাউর রহমান সেলিম ও মোহাম্মদ আলী। তারা লিখিতভাবে বাংলাদেশ সোসাইটি ও নির্বাচন কমিশনের কাছে এই ৩০৭ ভোট তালিকা থেকে বাদ দেবার দাবি জানান। এ প্রেক্ষিতে সোসাইটির কার্যকরি কমিটি ও ট্রাস্টি বোর্ড ২৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার যৌথ সভায় মিলিত হয়। সেখানে আলোচনার পর যৌথ কমিটি ৩০৭ ভোট বাতিলের ঘোষণা দেয়। নতুন ভোটার তালিকা প্রকাশের ঘোষণা করা হয়। উল্লেখ্য, এটি হবে সোসাইটির তৃতীয় সংশোধিত ভোটার তালিকা।
এ ব্যাপারে সোসাটির সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মোহাম্মদ আলী বলেন, বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচনী ইতিহাসে একটি কলংকজনক অধ্যায় রচিত হলো। এর আগে ২টি ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এখন তৃতীয়টি প্রকাশিত হবে। গত ৩০ জুন ভোটার হবার শেষ সীমা পার হয়। এরপর ২৮২ ভোট যোগ করে বর্তমান কার্যকরি কমিটি। এর প্রতিবাদে ২৮ আগষ্ট নির্বাচন কমিশন ও কার্যকরি কমিটিকে চিঠি দেই। তার জবাব পাইনি। ১৮ সেপ্টেম্বর ৩০৭ জন নতুন ভোটার দেখিয়ে দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ করা হয়। এর প্রতিবাদ করে আমরা আবার চিঠি লিখি। এর প্রেক্ষিতেই গত বৃহস্পতিবার যৌথ কমিটি এই ৩০৭ ভোট বাতিল করে। তবে ২৮২ ভোটের বাপারে তারা কোন জবাব দেন নি।
মোহাম্মদ আলী বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠূ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সবার সহযোগিতা দাবি করছি। নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। সোসাইটির ভাবমূর্তি রক্ষা আমাদের সকলের দায়িত্ব।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সোসাইটির বর্তমান সভাপতি মোহাম্মদ রব মিয়া বলেন, আপত্তিকৃত ৩০৭ ভোট বাতিল করেছে যৌথ কমিটি। যাদের ভোট বাতিল করা হয়েছে তারা চাঁদা ফেরত দাবি করলে ফেরত দেয়া হবে। নইলে তা সংঠনের তহবিলে জমা থাকবে। আর ২৮২ ভোটের বিষয়টি যৌথ কমিটি সার্বিক বিবেচনায় বাতিল করেন নি। তবে এ কথা র্নিদ্বিধিায় বলতে পারি, তারা সোসাইটির জেনুইন সদস্য ও বাংলাদেশি কমিউনিটিরই মানুষ। তারা প্রকাশিত প্রথম লিস্ট থেকেই ভোটার হিসেবে গণ্য হয়েছেন। সবারই মনে রাখতে হবে এই সংগঠনটি আমাদের। এ সংগঠন নিয়ে বাংলাদেশী কমিিউনিটি গর্বিত। আসুন সবাই মিলে একটি সুন্দর ও দৃষ্টান্তমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান করি। নির্বাচিত নতুন নেতৃত্বের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে সহযোগিতা করুন। যৌথ কমিটির সভায় সভাপতি মোহাম্মদ রব মিয়া, সিনিয়র সহ সভাপতি মহিউদ্দীন দেওয়ান ও সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সহ অধিকাংশ সদস্য উপস্তিত ছিলেন। ট্রাস্টি বোর্ড সদস্যদের মধ্যে উপস্তিত ছিলেন আব্দুল আজিজ, আখতার হোসেন, আজিমুর রহমান বোরহান, আব্দুল হাসিম হাসনু, মফিজুল ইসলাম, শাহজাহান সিরাজী, খোকন মোশাররফ, কামাল পাশা বাবুল, ওয়াসী চৌধুরী ও জহির মোল্লা।