ভোটযুদ্ধ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই নির্ঘণ্টও প্রকাশিত হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে সাত দফায় হতে চলেছে লোকসভা নির্বাচন। ৪২ আসনে প্রার্থী দিয়ে দিয়েছে তৃণমূল। অন্যদিকে, এখনো পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করতে পারেনি বিজেপি। আগের বার আসন প্রাপ্তি নিয়ে আনুমানিক ফলাফলের কথা বলেছিলেন তিনি। আর এবার লোকসভা নির্বাচনে ভোটপ্রাপ্তির শতকরা হারের হিসাব দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে ২২টি পেয়েছিল তৃণমূল। ১৮টি আসন পেয়েছিল পদ্ম শিবির। আর কংগ্রেস পেয়েছিল ২টি আসন।
বামেরা খাতা খুলতে পারেনি। তবে এবার পরিস্থিতি পাল্টেছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ২০০’র বেশি আসন পেয়ে সরকার গঠন করে তৃণমূল। নিয়োগ দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে সরগরম হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। তৃণমূলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী এখন কারাগারের পেছনে। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, রাজ্যে কেমন হতে পারে লোকসভার ফল? চারদিকে যখন চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে, তখন কুণাল ঘোষ জানিয়ে দিলেন- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতিত্বে এবার বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস ৩০ থেকে ৩৫ আসন পাবে, সংখ্যা বাড়তে পারে। ভোট শতাংশে গড়ে ৫৮ থেকে ৬২ শতাংশ ভোট তৃণমূলের। বিজেপি’র ভোট শতাংশ কমবেশি ৩০ থেকে ৩২। আসন পাঁচ থেকে ১১’র মধ্যে। বাম এবং কংগ্রেসের আসন ০। ২৪/০৩/২৪-এর পরিস্থিতি অনুযায়ী।’
২০২৪ সালে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে টার্গেট বেঁধে দিয়ে বিজেপি’র সেকেন্ড ইন কমান্ড অমিত শাহ জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলা থেকে কমপক্ষে ৩৫টি আসন পেতে হবে। আবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলা থেকে ৪২টি আসনই পাওয়ার কথা বলেছেন। এদিকে কুণালের মন্তব্য নিয়ে বিজেপি’র পশ্চিমবঙ্গের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘তৃণমূলের বিদায়, তৃণমূলের বিসর্জন কোনো বিবৃতি দিয়ে আটকানো যাবে না। কুণাল ঘোষ সচেতনভাবেই এই বিবৃতি দিচ্ছেন। কারণ তিনি জানেন যে, এই নির্বাচনে তৃণমূল দুই সংখ্যার ঘরে পৌঁছতে পারবে না।’ কংগ্রেস নেতা সৌম্য আইচ রায়ের মতে, ‘নিজেই বহরমপুরে প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না তৃণমূল। গুজরাট থেকে প্রার্থী এনেছেন। কংগ্রেস ও বামেদের সঙ্গ এড়িয়ে ‘চব্বিশের নির্বাচনে একলা চলো নীতি’ নিয়েছে তৃণমূল। এখন দেখার বিষয় কুনাল ঘোষের ভবিষ্যদ্বাণী মেলে কিনা।