বছরখানেক আগেই নীল সিনেমা ছবি বানানোর প্রযোজনা সংস্থা চালানোর দায়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন শিল্পা শেঠির স্বামী রাজ কুন্দ্রা। মাসখানেক জেলও খেটেছিলেন তিনি।
কয়েক দিন আগে মুম্বাই পুলিশের কাছে গোপন খবর আসে মুম্বাইয়ের নাভালি এ-র অম্বরনাথে একটি বাংলাদেশি পরিবার জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে বসবাস করছে। এরপর এ নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার করে ভারতে অবৈধভাবে বসবাসের অভিযোগে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) মহারাষ্ট্রের উলহাসনগর থেকে গ্রেফতার করা হয় বাংলাদেশি এক তরুণীকে। সেই তদন্তের জেরেই রিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন। যার নাম রিয়া অরবিন্দা ভার্দে এবং যিনি নীল ছবির অভিনেত্রী বলেই দাবি করা হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের একাধিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রেফতারকৃত তরুণী বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেঠির রাজ কুন্দ্রা প্রোডাকশনের নীল সিনেমার প্রজেক্টে কাজ করছিলেন। যদিও রাজ কুন্দ্রা অভিযোগগুলোকে মিথ্যা বলে দাবি করেছেন। এই অভিনেত্রীকে চেনেন না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রাজ কুন্দ্রা বলেন, ‘আমার সম্পর্কে ছড়ানো এই ভুয়া খবরে গভীরভাবে মর্মাহত। রিপোর্টগুলোতে দাবি করা হয়েছে, একজন অবৈধ অভিবাসী আমার জন্য কাজ করেছিলেন বা আমার একটি অনুমিত প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আমি খুব স্পষ্ট করে বলতে চাইÑ এই নারীর সঙ্গে কখনো দেখা হয়নি। তাকে আমি চিনি না বা আমার মালিকানাধীন কোনো প্রতিষ্ঠানে তিনি কাজ করতেন না।
রাজ আরও বলেন, এসব ভিত্তিহীন খবর কেবল আমার খ্যাতিকেই ক্ষতিগ্রস্ত করছে না, আমার নামকে ব্যবহার করা হচ্ছে লোকের নজর টানার জন্য। আমি এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ সহ্য করব না।
রাজ যে আইনি পদক্ষেপের কথা ভাবছেন, তা-ও জানিয়েছেন তিনি। তার আইনজীবী প্রশান্ত পাতিল জানান, ‘কিছু সংবাদমাধ্যমে বাংলাদেশি ওই তরুণীর সঙ্গে রাজের নাম জড়ানো হয়েছে। মুম্বাই পুলিশ যাকে গ্রেফতার করেছে, তিনি শিল্পা শেঠি ও রাজ কুন্দ্রার সংস্থায় কাজ করেন বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার মক্কেলের বদনাম করার জন্য এসব ছড়ানো হচ্ছে।’
এ ঘটনায় রাজের আইনজীবী আরও বলেন, ‘যে মিডিয়া হাউসগুলো এই ভুয়া খবর তৈরি করছে, তাদের বিরুদ্ধে মুম্বাই হাইকোর্টে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করা হবে।’