কনুইয়ের চোটে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে থেকে ছিটকে গেছেন টেম্বা বাভুমা। শঙ্কা জেগেছে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে তার খেলা নিয়েও।
বাংলাদেশ সফরে দুটি টেস্ট খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকা। আগামী ২১ অক্টোবর মিরপুরে শুরু হবে প্রথমটি। দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ শুরু ২ নভেম্বর, চট্টগ্রামে। আইরিশদের বিপক্ষে গত শুক্রবার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ব্যাটিংয়ের সময় চোট পান বাভুমা। রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি ৩৫ রান করে। পরে ফিল্ডিংও করেননি দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক। দেশে ফিরে চোট নিয়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেবেন বাভুমা। তখন হয়তো জানা যাবে কতদিন মাঠের বাইরে থাকতে হবে তাকে।
বাভুমার অনুপস্থিতিতে আয়ারল্যান্ড সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে নেতৃত্ব দেবেন রাসি ফন ডার ডুসেন। এরই মধ্যে ২-০ তে এগিয়ে যাওয়া এই সিরিজে বিশ্রামে আছেন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক এইডেন মার্করাম।
ওয়ানডে ও টেস্ট অধিনায়ক বাভুমার কনুইয়ের চোট অবশ্য নতুন নয়। ২০২২ সালে ভারত সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজের সময়ে একই কনুইয়ে আঘাত পেয়েছিলেন তিনি। যার ফলে ইংল্যান্ড সফর থেকে ছিটকে যান টপ অর্ডার এই ব্যাটসম্যান। পরে ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়ে মাঠে ফেরেন বাভুমা। তার নেতৃত্বে সেই আসরে গ্রুপ পর্ব থেকেই বাদ পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব হারান তিনি। এরপর থেকে বিভিন্ন চোটে নানা সময়ই মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে বাভুমাকে। ২০২৩ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলতে পারেননি তিনি। ভারতের বিপক্ষে গত বছর বক্সিং ডে টেস্টে বাঁ পায়ের হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়ে পুরো সিরিজ থেকেই ছিটকে পড়েন প্রোটিয়া অধিনায়ক।
পুরোপুরি সেরে না ওঠায় গত ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ড সফরে টেস্ট সিরিজে খেলতে পারেননি বাভুমা। চলতি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চক্রে কেবল একটি সিরিজই পুরোপুরি খেলা হয়েছে তার, গত আগস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দুই টেস্ট।
চলতি চক্রে দক্ষিণ আফ্রিকার এখনও ছয়টি টেস্ট বাকি আছে; দুটি বাংলাদেশ সফরে এবং দুটি করে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে। আগামী জুনের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলার সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখতে তাদের কমপক্ষে পাঁচটি ম্যাচ জিততে হবে।