বিশ্বকাপের পর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি, নির্বাচক, কোচিং স্টাফ সব জায়গাতেই এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। তিন ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছেন বাবর আজম। টেস্টে নেতৃত্বভার তুলে দেওয়া হয় শান মাসুদের হাতে।
অন্যদিকে টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব দেওয়া হয়েছিল শাহিন শাহ আফ্রিদিকে। বিশ্বকাপের ৬-৭ মাস আগে শাহিনকে বিশ্বকাপ বিবেচনাতে নিয়েই অধিনায়ক করা হয়েছিল। তবে শাহিনের নেতৃত্বেই পাকিস্তান বিশ্বকাপে খেলবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।
শঙ্কার কারণ পিসিবি সভাপতি মহসিন নাকভির বক্তব্য। নতুন নির্বাচক কমিটির নিয়োগের পর বিশ্বকাপে কে অধিনায়ক হবেন এই প্রসঙ্গে মহসিন জানান, এমনকি আমিও জানি না (বিশ্বকাপে) কে অধিনায়ক হবে।
শাহিন তার দায়িত্বে বহাল থাকবে নাকি নতুন কেউ আসবে তা ফিটনেস ক্যাম্পের পর নির্ধারিত হবে। এখানে অনেক কৌশলগত বিষয় আছে, যার বিস্তারিত আমি আলোচনা করতে চাচ্ছি না। আমরা দীর্ঘমেয়াদি সমাধান চাই। হোক তা শাহিন বা অন্য কেউ। তার পর আমরা তার ওপর আস্থা রাখব। কেবল এক ম্যাচ হারলেই অধিনায়ক পরিবর্তন করে ফেলব না।
পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হওয়ার পর কেবল একটি সিরিজই খেলতে পেরেছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। নিউজিল্যান্ড সফরে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৪-১ ব্যবধানে হেরেছে পাকিস্তান। এই সিরিজের পারফরম্যান্সের পরই শুরু হয়েছে শাহিনের নেতৃত্বগুণ নিয়ে কাটাছেঁড়া।
যদিও পিএসএলে লাহোর কালান্দার্সকে টানা দুই আসরে শিরোপা জেতানোর কীর্তি আছে শাহিনের। তবে পিএসএলের সর্বশেষ আসরে ভালো করতে পারেনি শাহিনের লাহোর। ১০ ম্যাচের মধ্যে মাত্র ১ ম্যাচ জিতে টুর্নামেন্টের পয়েন্ট টেবিলে সবার নিচে থেকে বিদায় নিয়েছে তারা।