ঐশ্বরিয়া রায় ও অভিষেক বচ্চনকে নিয়ে জল্পনা কল্পনা ক্রমেই বাড়ছে। একটি সূত্রে জানা গেছে, তাদের মধ্যে ব্যাপক দূরত্বও তৈরি হয়েছে। যদিও এ প্রসঙ্গে এখন পর্যন্ত তারা কেউই মুখ খোলেননি। বলিউডের আলোচিত দম্পতিদের মধ্যে ঐশ্বরিয়া-অভিষেক অন্যতম। তাদের নিয়ে যখন এমন খবর প্রকাশ পায়, তখন স্বভাবতই ভক্তরা মনোক্ষুণœ হন।
ঐশ্বরিয়া-অভিষেক বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে তাদের দাম্পত্যের সমীকরণ নিয়েও কথা বলেছেন। প্রত্যেক দম্পতির মাঝেই বিভিন্ন সময় মনোমালিন্য কিংবা কথার কাটাকাটি হয়। এ ক্ষেত্রে অভিষেক-ঐশ্বরিয়াও ব্যতিক্রম নন। তবে কে প্রথমে মনোমালিন্যের সমস্যা সমাধান করতে এগিয়ে আসেন? কে আগে ক্ষমা চাইতে আসেন? কপিল শর্মার অনুষ্ঠানে এ তারকা দম্পতি হাজির হয়ে এ প্রসঙ্গে কথা বলেছিলেন।
অনুষ্ঠানের সেটে এমন প্রশ্ন শুনে সাবেক ক্রিকেটার নবজোৎ সিংহ সিধু বলেছিলেন, এটা কোনো প্রশ্ন হলো! নিশ্চয়ই অভিষেকই প্রথমে ক্ষমা চান।
ঐশ্বরিয়া সঙ্গে সঙ্গে সিধুকে থামিয়ে বলেছিলেন, আমিই প্রথমে সমস্যা মিটিয়ে নিই। ক্ষমা চাই। সমস্যা তাড়াতাড়ি মিটিয়ে নেওয়ার জন্যই কথা না বাড়িয়ে মিটমাট করে নিই।
ঐশ্বরিয়ার এমন কথা শুনে বিস্মিত হন কপিল শর্মা।
‘উমরাও জান’ সিনেমার শুটিংয়ে ২০০৬ সালে ঐশ্বরিয়ার প্রেমে পড়েন অভিষেক। এরপরের বছরই ২০ এপ্রিল বিরাট আয়োজনে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন এ তারকা জুটি। ২০১১ সালের ১৬ নভেম্বর অভিষেক-ঐশ্বরিয়ার ঘরে জন্ম নেয় প্রথম সন্তান- আরাধ্যা।
এখন বিভিন্ন মাধ্যমে শোনা যাচ্ছে ঐশ্বরিয়া-অভিষেকের সেই সুখের সংসারে কালো মেঘ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে অনন্ত আম্বানি ও রাধিকার বিয়েতে দুজন একসঙ্গে প্রবেশ না করায় এমন জল্পনা-কল্পনার সূত্রপাত ঘটে। শুধু তাই নয়, বেশ কয়েকবার জনসম্মুখে আঙুলে বিয়ের আংটি ছাড়াই হাজির হয়েছেন। এদিকে স¤প্রতি দুবাইতে স্ত্রী ও কন্যার সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন অভিষেক।