ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পেল সেনাবাহিনী

0
16

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমিশন্ড অফিসারদের স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। দ্য কোড অব ক্রিমিন্যাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮-এর ১২(১) ও ১৭ ধারা অনুযায়ী দুই মাসের (৬০ দিন) জন্য এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সেনাবাহিনীর কমিশন্ড অফিসাররা এ স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা সারা দেশে প্রয়োগ করতে পারবেন।
জারি করা আদেশ অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮-এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারার অপরাধগুলো বিবেচনায় নিতে পারবেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, দেশের বিরাজমান আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নে সরকার এ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিনই নানা ঘটনা ঘটছে। একটি মহল সরকারকে স্বস্তিতে দায়িত্ব পালনে প্রতিবন্ধকতা তৈরির জন্য নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে।
প্রতিটি মুহূর্তে নানা ধরনের গুজব ছড়িয়ে পড়ছে। ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের নামে চাঁদাবাজি চলছে। দেশের ভেতর এবং বাইরে থেকে ধর্মীয় স¤প্রীতি বিনষ্টের গভীর চক্রান্ত করছে। সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি এবং বহু ধর্মের সহাবস্থানের গৌরব ম্লান করার চেষ্টা হচ্ছে।
এছাড়া অনেকের কাছে অবৈধ অস্ত্র রয়েছে। তারা সংঘবদ্ধ হয়ে যে কোনো সময় জনজীবনে হুমকি সৃষ্টি করতে পারে। অপর দিকে অনেকে বৈধ অস্ত্রও জমা দেয়নি। অথচ অস্ত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা অতিক্রান্ত হয়েছে ১৫ দিন আগে। দেশের বিভিন্ন স্থানে দখলবাজি চলছে। গার্মেন্ট শিল্প নিয়ে বহুমাত্রিক চক্রান্ত হচ্ছে।
সার্বিক বিবেচনায় সরকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে সেনাবাহিনীকে স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়েছে। তারা আরও জানান, এখনো অনেক পুলিশ সদস্য কর্মস্থলে যোগ দেননি।
পুরোদমে কাজ শুরু করতে পারছে না থানাগুলো। এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। তাই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সেনাবাহিনীকে এ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here