পর্নোতারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে যৌন সম্পর্কের বিষয়ে মুখ বন্ধ রাখতে গোপনে অর্থ দেওয়ার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার এটাই প্রথম ঘটনা।
এ ঘটনাকে রিপাবলিকান মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার মাইক জনসন ‘লজ্জাজনক’ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আজকের দিনটি আমেরিকার ইতিহাসে একটি লজ্জাজনক দিন। বিরোধী দলের নেতাকে হাস্যকর অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করার পর ডেমোক্র্যাটরা উল্লাস প্রকাশ করছে। এটি একটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক চক্রান্ত, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।
এর আগে দীর্ঘ পাঁচ সপ্তাহ ধরে শুনানির পর বৃহস্পতিবার ১২ জুরির উপস্থিতিতে আদালত ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করেন। বিচারে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ট্রাম্প নিজেকে একজন ‘রাজনৈতিক বন্দি’ হিসেবে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আমি এইমাত্র একটি তথ্য কারচুপির মামলায় রাজনৈতিক বিচারে দোষী সাব্যস্ত হয়েছি, আমি কোনো ভুল করিনি। তারা আমার বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে, আমাকে গ্রেফতার করেছে, এখন তারা আমাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে।
ট্রাম্প আরও বলেন, এটা আমার জন্য মানহানিকর। আমি ন্যায়বিচার পাইনি। আদালতের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করে যাব।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আদালতের বিচারক জুয়ান মার্চান আগামী ১১ জুলাই সাজা ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের কারাদণ্ড হতে পারে। তবে আইনজ্ঞরা বলছেন, তাকে জরিমানা করার সম্ভাবনাই বেশি।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে করা মামলাটির অভিযোগে বলা হয়– ২০০৬ সালে স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে তার যৌন সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। পরে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এ বিষয়ে মুখ না খুলতে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে স্টর্মিকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুস দেওয়া হয়। তার হাতে এ অর্থ তুলে দিয়েছিলেন ট্রাম্পের আইনজীবী মাইকেল কোহেন। তবে ব্যবসায়িক নথিপত্রে এ লেনদেনের তথ্য গোপন করা হয়েছিল। যদিও এসব অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে এসেছেন রিপাবলিকান দলের এই নেতা।