স্পোর্টস ডেস্কঃ খেলার মাঠ থেকে রাজনীতির মাঠে নেমেও জনপ্রিয়তার তুঙ্গে ভারতের বিশ্বকাপজয়ী দলের সাবেক তারকা অলরাউন্ডার ইউসুফ পাঠান।
ভারতের হয়ে ৫৭টি ওয়ানডে আর ২২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা ইউসুফ পাঠান রাজনীতির মাঠে নামার পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুরের চিত্রটা রীতিমতো পাল্টে গেছে। যত দিন যাচ্ছে তার জনপ্রিয়তা বেড়েই চলছে।
ইউসুফ পাঠান ক্রিকেটার হওয়ায় তার প্রতি মানুষের আবেগ কাজ করছে। পাঠানের জনপ্রিয়তা কপালে ভাঁজ ফেলেছে প্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর। বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে অধীর চৌধুরীর প্রতিদ্ব›দ্বী তৃণমূল কংগ্রেস থেকে ইউসুফ পাঠান।
ইউসুফ পাঠান ২০১১ সালে ভারতের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য হওয়ায় নির্বাচনী প্রচারের ব্যানারে সেই ছবি ব্যবহার করছেন। সেই ছবিতে ভারতীয় কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের ছবিও রয়েছে। যে কারণে প্রতিপক্ষরা তার বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ করেছে নির্বাচন কমিশনে।
নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া অভিযোগে লেখা হয়- ‘আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ের মুহূর্ত পোস্টারে তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে রয়েছেন ভারতরতœ শচীন টেন্ডুলকার। এটা দেশের জন্য যেমন গর্বের তেমনই আবেগের। রাজনৈতিক ফায়দা লাভে এমন ছবি ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘিত হয়েছে।’
প্রতিপক্ষের এমন অভিযোগ নিয়ে ইউসুফ পাঠানের পাশে দাঁড়িয়েছেন কান্দির বিধায়ক তথা মুর্শিদাবাদ বহরমপুর ইউনিটের জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অপূর্ব সরকার।
তিনি বলেন, ‘ইউসুফ পাঠান ভারতীয় বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন। তিনি ভারতের গর্ব। এই ছবি নির্বাচনী বিধি ভেঙেছে বলে আমার মনে হয় না।’
ইউসুফ পাঠানের হয়ে ১ এপ্রিল নির্বাচনী প্রচারে নামার কথা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।