রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ চারজনের ছাত্রত্ব আজীবনের জন্য বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ। একইসাথে আরো ৪৪ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যাদের মধ্যে ৪২ জনকে হল থেকে আজীবনের জন্য বহিস্কার এবং দু’জনকে চার সেমিস্টারের জন্য বহিস্কার করা হয়।
রুয়েটের ছাত্রকল্যাণ দফতরের পরিচালক ও ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মো: রবিউল ইসলাম সরকার জানিয়েছেন, জুলাই অভ্যুত্থানে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
আজীবন বহিষ্কৃতরা হলেন- নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রুয়েট শাখার সভাপতি ও পুরকৌশল বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী ফাহমিদ লতিফ লিয়ন, সাধারণ সম্পাদক ও সিএসই বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী সৌমিক সাহা, ছাত্রলীগ কর্মী ও যন্ত্রকৌশল বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী শাশ্বত সাহা সাগর এবং পুরকৌশল বিভাগের ২০১৯-২০২০ সেশনের শিক্ষার্থী মৃন্ময় কান্তি বিশ্বাস।
অধ্যাপক ড. মো: রবিউল ইসলাম সরকার বলেন, ‘বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রুয়েট ভিসি অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রুয়েট প্রশাসন তদন্ত কমিটি গঠন করে। সব অভিযোগ যাচাই করে দেখা গেছে, অভিযুক্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা সংক্রান্ত যে অর্ডিন্যান্স রয়েছে সেটির ধারা লঙ্ঘন করেছেন। এজন্য চার শিক্ষার্থীকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়াও ৪২ জনকে আবাসিক হল থেকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা করা হয়। গত বছরের ১৯ আগস্ট অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাপ্ত প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে তাদের বিরুদ্ধে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘৪২ জনের মধ্যে রুয়েটের প্রকৌশল শাখার সহকারী প্রকৌশলী নাঈম রহমান নিবিড়, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ডাটা প্রসেসর মো: মহিদুল ইসলাম, শিক্ষা শাখার সাব-এসিস্ট্যান্ট প্রোগ্রামার একেএম আনোয়ারুল ইসলামকে চাকরি থেকে বহিস্কারসহ তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রুয়েটের সংশ্লিষ্ট ফোরামে অনুরোধ করা হয়েছে।’
গত বছরের ১৯ আগস্ট অভিযানের সময় ছাত্রলীগ নেতাদের কক্ষে অস্ত্র ও মাদকসহ নিষিদ্ধ দ্রব্যাদি পাওয়া যায়। এছাড়াও পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করায় দু’জনকে চার সেমিস্টার বা দুই শিক্ষাবর্ষের জন্য বহিস্কার করা হয়েছে।