সেনাবাহিনীর ট্রেনিংয়ে পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা

0
54

পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের ফিটনেস নিয়ে সমালোচনাটা বহু পুরনো। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে চিরপ্রতিদ্ব›দ্বী ভারতের বিপক্ষে হারের পর নতুন করে বিষয়টি সামনে এনেছিলেন দেশটির কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরাম।

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান হিসেবে নতুন দায়িত্ব নেওয়া মহসিন নাকভীও ফিটনেস নিয়ে হার্ডলাইনে। কদিন আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন, ক্রিকেটারদের ফিটনেস বাড়াতে সেনাবাহিনীর তত্ত¡াবধায়নে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে বোর্ড।

ডন জানিয়েছে, ফিটনেস ট্রেনিংয়ের জন্য ২৯ জন ক্রিকেটারের নামের তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী ২৫ মার্চ থেকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত কাকুল সেনাবাহিনী ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ নেবেন বাবর-রিজওয়ানরা। স¤প্রতি অবসর ভেঙ্গে জাতীয় দলে ফেরার বার্তা দেওয়া ইমাদ ওয়াসিম ও মোহাম্মদ আমিরও থাকছেন ট্রেনিংয়ে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে পিসিবি।

এর আগে কেন প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, সেটাও পরিষ্কার করে জানিয়েছিলেন নাকভি, ‘আমি যখন লাহোরে খেলা দেখছিলাম, আমার মনে হয় না তোমাদের মধ্যে (পাকিস্তানি ক্রিকেটার) কেউ গ্যালারিতে ছক্কা মেরেছো। যখনই এ রকম কোনো ছক্কা মারা হয়েছে, আমার মনে হয়েছে বিদেশি কোনো খেলোয়াড় মেরেছে। আমি বোর্ডকে বলছিলাম, খেলোয়াড়দের ফিটনেস বাড়ানোর জন্য একটা পরিকল্পনা করতে। তোমাদের সবাইকে যথাযথভাবে চেষ্টা করতে হবে।’

পিসিবি প্রধান নিজেই প্রশিক্ষণের সময় নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন, ‘আমাদের সামনে নিউজিল্যান্ড সিরিজ আছে। এরপর আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ড সিরিজ এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আমি অবাক হয়েছি এটা ভেবে, ‘কখন আমরা প্রস্তুতি নেব?’ কোনো সময়ই নেই।

যাইহোক, আমরা একটা সময় খুঁজে পেয়েছি। সেই সময়টাতে আমরা কাকুল (মিলিটারি অ্যাকাডেমি) একটি ক্যাম্পের আয়োজন করেছি মার্চের ২৫ তারিখ থেকে এপ্রিলের ৮ তারিখ। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী তোমাদের প্রশিক্ষণে যুক্ত থাকবে এবং আশা করি তারা তোমাদের উপকার করবেন।’

এর আগে ২০১৬ সালে মিসবাহ উল হক অধিনায়ক থাকাকালীন একবার কাকুলে সেনাবাহিনীর সঙ্গে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। সেবার ইংল্যান্ডে গিয়ে তাদের বিপক্ষে ২-২ এ টেস্ট সিরিজ ড্র করেছিল দলটি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here