হামাস-ইসরাইল যুদ্ধে নারীদের নিরাপত্তা চায় মার্কিন নারী নেত্রীরা

0
86

ইমা এলিস, নিউইয়র্ক: হামাস-ইসরাইল যুদ্ধে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের সকল মুসলিম নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করণ ও যুদ্ধের সময় শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের বোস্টনের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট টেকনোলজি (এমআইটি)তে পৃথক দু’টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার (১ এপ্রিল) বিকেলে অনুষ্ঠিত উক্ত সেমিনারে শান্তি প্রতিষ্ঠাসহ নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের দাবি জানানো হয়।
সোমবার বিকেলে প্রথম ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট টেকনোলজি (এমআইটি)তে এবং সন্ধ্যার পর বোস্টনের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় সেমিনার দুটি অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত দু’জন নারীসহ পাকিস্তান ও শ্রীলংকান আরও দু’জন মুসলিম নারী অংশ নেন। এরা হলেন-এএমএমডাবিøউইসি এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আনিলা আলী, নিউ ইংল্যান্ড বাংলাদেশি আমেরিকান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ফারহানা খোরশেদ, মুসলিম উমেন স্পীকার্সের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সোরায়া ডীন ও এএমএমডাবিøউইসি এর নির্বাহী বোর্ড এর সদস্য জেবুন্নেসা জেবা জুবায়ের।
তারা বলেন, আমাদের সমাজের মধ্যে শান্তি, আস্থা এবং সহযোগিতার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা একটি জরুরি বিষয়। এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা একটি প্রত্যাশা করি এই অঞ্চলের সমস্ত জাতির জন্য আরও প্রতিশ্রæতিশীল ভবিষ্যত গড়তে সাহায্য ও সহযোগিতা প্রদান করবো।
বক্তারা বলেন, হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ [আরব] উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলির এগিয়ে যাওয়ার কৌশল। ছোট দেশগুলো শুরু করবে, তারপর বড় দেশগুলো এগিয়ে যাবে সৌদি আরবের নেতৃত্বে। যেখানে সৌদি আরব হল পবিত্র শহর মক্কা, ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে একটি, ইসরায়েল বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তিনটি ধর্মের পবিত্র স্থানগুলির আবাসস্থল যেখানে প্রায় দুই মিলিয়ন আরব ইজরায়েলকে বাড়িতে ডাকে। যদিও দুই দেশের মধ্যে শান্তি চুক্তি আগে কখনো হয়নি, তবে আমরা আশাবাদী।
তারা বলেন, আমরা ওয়েস্টার্ন ওয়াল এবং আল আকসার মতো স¤প্রদায় এবং ধর্মীয় স্থান দেখতে গিয়েছিলাম। আমাদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল কৌতূহল। এই কৌতূহলটি ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে সম্ভব হয়েছিল। যখন ইসরাইল, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইন আব্রাহাম অ্যাকর্ডস নামে একটি দ্বিপাক্ষিক স্বাভাবিককরণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। পরবর্তীতে ১৯৯৮ সালে মরক্কোতে যোগ দেই। আমাদের একে অপরের সাথে সহযোগিতা করা দরকার বলে মনে করেন বক্তারা।
বক্তারা বলেন, আমাদের অতীতের দ্ব›দ্ব বা অতীতের সংঘাতের একতরফা উপলব্ধির দ্বারা পরিচালিত হতে পারে না, যা এই অঞ্চলটিকে পিছিয়ে রাখে। তাই আমরা শান্তির পক্ষে ওকালতি করে ইসরায়েলি, বাহরাইনি, ইহুদি এবং মুসলমানদের মধ্যে সেতু তৈরি করতে চাই। অবিলম্বে হামাস-ইসরাইল যুদ্ধের অবসানসহ মুসলিম নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করণ ও যুদ্ধের সময় শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বক্তারা। উক্ত সেমিনারের ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ বিষয়ক দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন নারী নেত্রীরা। সেমিনারটির উদ্যোক্তা ছিলেন বি কালেকটিং।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here