দীর্ঘ ১৮ মাস পর একসঙ্গে দেখা গেল বিএনপি ও তাদের এক সময়ের জোটসঙ্গী জামায়াতে ইসলামীকে। গতকাল রাজধানীর ইস্কাটন লেডিস ক্লাবে বিএনপি আয়োজিত ইফতারে এক টেবিলে বসেন দুই দলের নেতারা। তার আগে একই মঞ্চে ভাষণ দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
এ ছাড়া সংসদের বিরোধী দল- জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা খলিলুর রহমান ও পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন ভূঁইয়াসহ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২-দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট নেতারা অংশ নেন।
রাজনৈতিক নেতা ও বিশিষ্টজনদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা অত্যন্ত কঠিন সময় অতিক্রম করছি। আমাদের সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া দরকার। আমরা যারা গণতন্ত্র চাই, যারা চাই কল্যাণমূলক দেশ, তাদের অবশ্যই ৩১ দফা সামনে রেখে আন্দোলন করতে হবে। এক দফা আন্দোলন যে শুরু করেছিলাম, ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তা শেষ করতে হবে। জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, এই সংগ্রামে ভেদাভেদ বা বিরোধ নয়, মানুষের মুক্তির জন্য আসুন ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন চালিয়ে যাই; বিজয় আমাদের হবেই। নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, রাজনৈতিকভাবে মানুষ সংঘবদ্ধ। আরও বেশি ঐক্য করে, আরও বেশি আন্দোলনে যাব। বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, আমাদের আন্দোলনের একটি পর্যায় অতিক্রম করেছি। আমরা ঐক্যে বিশ্বাস করি। ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব। স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, আমরা গভীর সংকটে আছি। কৌশল ও নীতিগত পরিবর্তনের মাধ্যমে আমরা আন্দোলন গড়ে তুলে এই সরকার হটাব। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আযম খান, কেন্দ্রীয় নেতা ডা. শাহেদা রফিক, বিজন কান্তি সরকার, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জহির উদ্দিন স্বপন, আবদুস সালাম আজাদ, সেলিম ভুইয়াসহ গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, জেএসডি সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) আহসান হাবিব লিংকন, এবি পার্টির আহŸায়ক এ বি এম সোলায়মান চৌধুরী, বিকল্প ধারার আহŸায়ক অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী, এনডিএমের ববি হাজ্জাজ, সমমনা জোটের নেতা খন্দকার লুৎফুর রহমান, ইসলামী আন্দোলনের অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন্দ, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক হারুন চৌধুরী, জাগপার একাংশের সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, বিএফইউজে (একাংশ) সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তের মহিউদ্দিন ইকরাম, গণঅধিকার পরিষদের একাংশের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব ফারুক হাসান, অপরাংশের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ইফতারের আগে দোয়া পরিচালনা করেন ওলামা দলের মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক।