top-ad
২৮শে মার্চ, ২০২৪, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০
banner
২৮শে মার্চ, ২০২৪
১৫ই চৈত্র, ১৪৩০

জঙ্গি ছিনিয়ে নেয়া অবশ্যই আমাদের ব্যর্থতা : র‌্যাব ডিজি

সমন্বয়ের অভাবে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে দুই উগ্রবাদী (জঙ্গি) ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) এম খুরশীদ হোসেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা অবশ্যই আমাদের ব্যর্থতা ছিল।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
অপর দিকে ঘরছাড়া ৩৩ জন তরুণকে শনাক্ত করেছে রথ্যাব। শনাক্ত হওয়া ৩৩ জনের মধ্যে ১২ জনকে ইতোমধ্যে রথ্যাব আটক করেছে। বাকি ২১ জন এখনো পলাতক রয়েছে বলে গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর কাওরান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এ তথ্য জানানো হয়।
র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, শুধু পুলিশকে এককভাবে বলছি না। পুলিশের সাথে সবার একটা সমন্বয় থাকার কথা ছিল। সেখানে কোথাও সমন্বয়ের অভাব ছিল। সমন্বয়ের অভাব থাকার কারণে ওখানে যেভাবে লোক থাকার কথা ছিল, কিংবা জঙ্গিরা যখন পালিয়েছে, তখন যে তথ্য জানানোর কথা ছিল সেই জায়গাগুলোতে কোথাও অভাব ছিল। যে কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, আমরা যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে প্রস্তুত। আমরা চাইব, আমাদের দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য।
ঘরছাড়া ৩৩ তরুণকে শনাক্ত করেছে র‌্যাব :
সম্প্রতি আত্মপ্রকাশ হওয়া নতুন উগ্রবাদী সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার ডাকে সাড়া দিয়ে ঘর থেকে বের হওয়া ৫৫ জন তরুণের মধ্যে ৩৩ জনকে শনাক্ত করেছে র‌্যাব সদস্যরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর কাওরান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, গত ২৩ জানুয়ারি গ্রেফতার নতুন জঙ্গি সংগঠনটির সামরিক শাখার প্রধান মাসুকুর রহমান ওরফে রণবীরের কাছ থেকে একটি ভিডিও উদ্ধার করা হয়। ওই ভিডিওতে মোট ২৯ জন জঙ্গিকে শনাক্ত করা হয়। ২৮ ফেব্রুয়ারি উদ্ধার হওয়া ৭ মিনিট দৈর্ঘ্যরে নতুন ভিডিওতে আরো ২৩ জন জঙ্গিকে শনাক্ত করা হয়। এই ২৩ জনের মধ্যে ১৯ জন জঙ্গি আগের ভিডিওতেও ছিলেন, আর চারজন নতুন জঙ্গির উপস্থিতি পাওয়া গেছে। নতুন চারজন হলো- শেখ আহমেদ মামুন ওরফে রমেশ, শামিম মিয়া ওরফে বাকলাই ওরফে রাজান, নিজাম উদ্দিন হিরন ও ডা: জহিরুল ইসলাম ওরফে আহমেদ। ভিডিওর তথ্য অনুযায়ী গত বছরের ৬ জুন ডা: জহিরুল মারা গেছেন।
তিনি বলেন, দুই ভিডিওতে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে থাকা মোট ৩৩ জনকে শনাক্ত করা গেছে। তাদের মধ্যে ১২ জনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটকে অভিযান চলবে। নতুন পাওয়া ভিডিও প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মূলত অর্থ সংগ্রহ এবং সদস্য সংগ্রহের জন্য এই ভিডিওটি তৈরি করা হয়ে থাকতে পারে। অপর দিকে দেশে বড় কোনো নাশকতার পর নিজেদের অস্তিত্ব দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মহলে জানান দেয়াও এই ভিডিওর উদ্দেশ্য হতে পারে।
এক প্রশ্নের জবাবে র‌্যাবের কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, গত নভেম্বর থেকে তাদের মোবাইল ফোনে ভিডিওটি ছিল। ভিডিওর কাজটি চলমান ছিল। কিন্তু এর মধ্যেই র‌্যাবের অভিযান শুরু হয়। এখন পর্যন্ত কোনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলোর অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। তারা নিজেদের গ্রুপের মধ্যেই এগুলো সরবরাহ করেছে। কোনো নাশকতার পরে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে এটি ব্যবহৃত হতে পারে।
নতুন সংগঠনের নাশকতার পরিকল্পনা রয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সর্বশেষ যে চারজনকে আটক করা হয় তাদের সমতলে আত্মগোপনের নির্দেশনা ছিল। এ জন্য তারা চার দিন ধরে পাহাড় থেকে হেঁটে বান্দরবান শহরে আসে। তাদের বিচ্ছিন্নভাবে চট্টগ্রামে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। এখন তাদের কি শুধু আত্মগোপন নাকি অন্য কোনো নাশকতার পরিকল্পনা ছিল পরবর্তী জিজ্ঞাসাবাদে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

আরো খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

জনপ্রিয় খবর