রায়ে সন্তোষ প্রকাশ শহীদ আবরারের মায়ের, দ্রুত কার্যকরের দাবি

0
43

বুয়েট শিক্ষার্থী শহীদ আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ বহালের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে দ্রুত কার্যকর ও পলাতক আসামিকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন আবরার ফাহাদের মা রোকেয়া খাতুন।

রোববার (১৬ মার্চ) আদালতের রায় ঘোষণার পর কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই সড়কের বাসায় আবরারের মা রোকেয়া খাতুন এ কথা জানান।

শহীদ আবরার ফাহাদের মা রোকেয়া খাতুন সাংবাদিকদের জানান, ‘আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় হাইকোর্ট আজ যে রায় দিয়েছেন তাতে আমি খুশি। শুধু আমরা না, সারাদেশের মানুষ খুশি। ২০২২ সালের রায় বহাল রয়েছে। প্রথম যখন রায় ঘোষণা করা হয়েছিল, সেই রায়েও দেশবাসী সন্তোষ প্রকাশ করেছিল।’

তিনি বর্তমান সরকারসহ সব মহলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘মৃত্যুর ছয় বছর পরও আমার সন্তানকে সকলে ভালোবেসে মনে রেখেছে কেউ ভুলে যায়নি। এটা আমার জন্য বড় পাওয়া।’

তিনি দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি জানিয়ে বলেন, ‘দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান র‌্যাগিংমুক্ত থাক। বর্তমানে যেমন জুলুম-অত্যাচার নেই, তেমন সারাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সমসময় যেন নিরাপদ থাকে। ভবিষ্যতে যেন আমার মতো কাউকে সন্তান হারাতে না হয়। শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন লক্ষ্য যেন ধ্বংস না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অসম চুক্তি এবং ফারাক্কার পানি আগ্রাসন নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাসের জেরে বুয়েট শেরে বাংলা হলের আবাসিক ছাত্র ও তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরারকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ছাত্রলীগের এক নেতার কক্ষে নিয়ে নৃশংস কায়দায় পিটিয়ে হত্যা করে সংগঠনটির ক্যাডাররা। পরে রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

আবরার ফাহাদ ১৯৯৮ সালে ১২ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের রায়ডাঙ্গা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মো: বরকত উল্লাহ এবং মায়ের নাম রোকেয়া খাতুন।

আবরার কুষ্টিয়া মিশন প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা এবং পরে কুষ্টিয়া জিলা স্কুলে পড়াশোনা করেন। নটরডেম কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা শেষে ২০১৮ সালের ৩১ মার্চ আবরার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল বিভাগে পড়াশোনা শুরু করেছিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here