স্বপ্নের মতো শুরু রিশাদ হোসেনের। পিএসএল অভিষেকেই বাজিমাত বাংলাদেশী লেগ স্পিনারের। লাহোরের জার্সি গায়ে প্রথম ম্যাচেই কাড়লেন আলো। বল হাতে কাঁপিয়ে দিয়েছেন রাইলি রুশো-আমিরদের।
পিএসএলে দলের প্রথম ম্যাচে সুযোগ মেলেনি একাদশে। দ্বিতীয় ম্যাচে সুযোগ পেয়েই নিজেকে চেনালেন রিশাদ। ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। তার এমন বোলিংয়ে ৭৯ রানের বড় জয় পেয়েছে তার দলও।
এবারের পিএসএলের ড্রাফটে নাম ছিল সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমানের মতো তারকাদের। তবে তাদের ছাপিয়ে দল পান তিন বাংলাদেশী; নাহিদ রানা, লিটন দাস ও রিশাদ হোসেন।
নাহিদ রানা এখনো পাকিস্তানের বিমানে ওঠেননি আর আসর শুরুর আগেই শেষ লিটন দাসের, চোটের কারণে ছিটকে গেছেন তিনি। তবে এর মাঝেই অভিষেক হয়ে গেল রিশাদ হোসেনের।
রোববার এই ম্যাচে টসে হেরে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ২১৯ রান করে লাহোর। শুরুতে ফখর জামান ও শেষে ঝড় তুলেন স্যাম বিলিংস। মাঝে বাকিদের ছোট ছোট ইনিংস লাহোরকে পথ দেখায়।
ফখর জামান ৩৯ বলে ৬৭ রান করে আউট হোন। শেষদিকে ১৯ বলে ৫০ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন বিলিংস। ২১ বলে ৩৭ রান করেন আব্দুল্লাহ শফিক আর ২৩ বলে ৩৭ করেন ডেরিয়েল মিচেল।
শেষ দিকে ব্যাট করতেও নামেন রিশাদ। তবে মাত্র ১ বল খেলে সমান ১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। আকিল হুসেইন ও আবরার আহমেদ নেন ২টি করে উইকেট। ১টি করে উইকেট পান ফাহিম আশরাফ ও উসমান তারিক।
বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে কোয়েটা। মাত্র ৯ রানের মাঝে তারা হারায় ৩ উইকেট। দুই ওপেনার সাউদ শাকিল ও ফিন অ্যালেনকে বিদায় করেন শাহীন আফ্রিদি। আর হাসান নাওয়াজকে ফেরান আসিফ আফ্রিদি।
ইনিংসের সপ্তম ওভারে রিশাদের হাতে বল তুলে দেন লাহোর অধিনায়ক আফ্রিদি। প্রথম ওভারে মাত্র ৬ রান দেন রিশাদ। দ্বিতীয় ওভারে এসে রুশোর কাছে ছক্কা হজম করলেও পরের বলে তাকে বোল্ড করেন তিনি, দেন ৯ রান।
১১তম ওভারে রিশাদ নিজের তৃতীয় ওভার করতে এসে একটু খরুচে ছিলেন, সেই ওভারে একটি ছক্কাসহ ৯ রান খরচ করেন তিনি। তবে শেষ ওভারে রিশাদ তুলে নেন জোড়া উইকেট। এবার মোহাম্মদ আমির ও আবরারকে ফেরান রিশাদ।
রিশাদের তোপে কোয়েটার ইনিংস থামে ১৪০ রানেই। রাইলি রুশোর ৪৪ রান ছিল ইনিংস সেরা, কুশল মেন্ডিস ২৮ ও ফাহিম আশরাফ করেন ২১ রান। বল হাতে রিশাদ ছাড়াও ২টি করে উইকেট নেন সিকান্দার রাজা, শাহীন আফ্রিদি ও আব্বাস আফ্রিদি।