ইসরাইলের স্পর্শকাতর সামরিক স্থাপনায় আঘাত হেনেছে হিজবুল্লাহর ড্রোন। যুদ্ধের মধ্যে এটি ইসরাইলে হিজবুল্লাহর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হামলা। এতে ১৪ সেনা আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল।
বৃহস্পতিবার ইসরাইলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর টাইমস অব ইসরাইলের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ একটি বিস্ফোরক ড্রোন দিয়ে লোয়ার গ্যালিলির একটি স্পর্শকাতর সামরিক স্থাপনায় হামলা চালাতে সক্ষম হয়েছে।
গাজায় হামাসের হামলায় ৫ ইসরাইলি সেনা নিহত
ইসরাইলের সেনাবাহিনী বলেছে, আহত ছয় সেনার অবস্থা গুরুতর। লেবানন থেকে বেদুঈন গ্রাম আরব-আল আরামশে অভিমুখে ছোড়া কয়েকটি ট্যাংক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন চিহ্নিত করার পর সেগুলো যেখান থেকে ছোড়া হয়েছে সেই জায়গায় আঘাত হানা হয়েছে।
হামলার বিষয়ে হিজবুল্লাহ দাবি করেছে, তারা ইসরাইলি বিমান বাহিনীর একটি ঘাঁটিতে বিস্ফোরকবাহী ড্রোন নিক্ষেপ করেছে। সেখানে স্কাই ডিউ নামে পরিচিত একটি দৈত্যাকার ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্তকারী বিøম্প পরিচালিত হয়। ঘাঁটিটি লেবানন সীমান্ত থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার (২১ মাইল) দূরে গোলানি জংশনের কাছে অবস্থিত।
বৃহস্পতিবার সকালে আইডিএফ হামলার তথ্য নিশ্চিত করে বলেছে, হিজবুল্লাহর একটি ড্রোন গোলানি জংশন এলাকায় একটি স্পর্শকাতর সামরিক স্থাপনায় আঘাত হেনেছে।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, হামলায় দুটি ড্রোন ছোড়া হয়, যার একটি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্বারা ভূপাতিত করা হয়। দ্বিতীয় বিস্ফোরক ড্রোনটি ওই স্থাপনায় আঘাত হানে। সামরিক বাহিনী ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করছে।
গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। এই সময়টাতে লেবানন-ইসরাইল সীমান্তে প্রায় প্রতিদিনই হিজবুল্লাহ ও ইসরাইলি বাহিনীর মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটছে।
হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি হলেই কেবল হামলা থামাবে তারা।