ঢাকা ডেস্কঃ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জোর করে বিশ্ববিদ্যালয় দখলের চেষ্টা করছে। এই সরকারের আমলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। রোববার রাজধানীর কাকরাইলে হোটেল রাজমণি ঈশা খাঁয় গণফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি। ইফতারে বুয়েটের সা¤প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব। সেখানে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, তারা জোর করে ক্যাম্পাস দখলের চেষ্টা করছে।
এদিকে গতকাল রাজধানীর লেডিস ক্লাবে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেডআরএফ) ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেডআরএফ’র প্রেসিডেন্ট ও বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য দেন।
জেডআরএফ’র ইফতারে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলতে ষড়যন্ত্র চলছে। শুধু তাই নয়, জিয়াউর রহমানের বিষয়ে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। এটার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। জিয়াউর রহমানের অবদান তুলে ধরে তা প্রচার করতে হবে। তার সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সংবলিত পুস্তক নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।
তিনি বলেন, দেশে উন্নয়নের গান গায় সরকার।
এই উন্নয়ন তো শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শুরু করেছিলেন। তিনি তো স্বল্প সময়ে বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন।
বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এসব অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদেরকে শক্তিশালী হতে হবে। আরও তীব্রতর আন্দোলন করতে হবে, যতদিন পর্যন্ত না লক্ষ্য আদায় হয়। খালেদা জিয়া সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত। সেবা পাওয়ার মৌলিক অধিকার থেকে তিনি বঞ্চিত। যিনি গণতন্ত্র রক্ষায় আজীবন লড়াই করছেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা ভোট বর্জন করেছি। এবার ভারতীয় পণ্য বর্জন করতে হবে। আসুন ভারতের নিকৃষ্টতম পণ্য আওয়ামী লীগকে বর্জন করি।
জেডআরএফ’র নির্বাহী পরিচালক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইফতার মাহফিল উদ্যাপন কমিটির আহŸায়ক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান। জেডআরএফ’র ইফতার মাহফিল উদ্যাপন কমিটির সদস্য সচিব ব্যারিস্টার মীর হেলালের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ড. সদরুল আমিন, বিএফইউজের কাদের গনি চৌধুরী, ড্যাবের সভাপতি ডা. হারুন আল রশিদ প্রমুখ।
রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্টজন ও পেশাজীবীদের মধ্যে ইফতারে উপস্থিত ছিলেন এএসএম আবদুল হালিম, কবি আবদুল হাই শিকদার, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল, শহীদুল ইসলাম বাবুল, ডা. পারভেজ রেজা কাকন, হেলেন জেরিন খান, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, আতিকুর রহমান রুমন, শায়রুল কবির খান, রাকিবুল ইসলাম রাকিব, নাছির উদ্দিন নাছির প্রমুখ।