ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি বলেছেন, জিয়া-এরশাদের উদ্দ্যোগহীনতার কারণেই এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায়নি। এখন সেই একই রাজনীতির পথে তারা ভারতীয় পণ্য বর্জনের নামে প্রতিবেশী দুই দেশের সম্পর্ক নষ্ট করার চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে।
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবিতে ওয়ার্কার্স পার্টি আয়োজিত সমাবেশে রাশেদ খান মেনন এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণহত্যার স্বীকৃতি না দেওয়ার কারণে ফিলিস্তিনে ইসরাইলি গণহত্যাকে উপেক্ষা করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সরকারকে বাংলাদেশের গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ নিতে হবে।
ওয়ার্কার্স পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তর কমিটির আহবায়ক সাদাকাত হোসেন খান বাবুলের সভাপতিত্বে ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহŸায়ক কিশোর রায়ের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন দলের পলিটব্যুরোর সদস্য কামরূল আহসান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবুল হোসাইন, আমিরুল হক আমিন, মোস্তফা আলমগীর রতন, সাব্বাহ আলী খান কলিন্স, যুবমৈত্রী সভাপতি তৌহিদুর রহমান, নারী মুক্তি সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিউলী শিকদার, জাতীয় গার্হস্থ্য নারী শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মুর্শিদা আখতার নাহার, ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি অতুলন দাস আলো প্রমুখ।
ভারতীয় পণ্য বর্জন আন্দোলনের নিন্দা: ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর এক বিবৃতিতে বিএনপি ও তার সহযোগীদের তথাকথিত ‘বয়কট ইন্ডিয়া’ ও ভারতীয় পণ্য বর্জন আন্দোলনের ব্যাপারে তীব্র ক্ষোভ, ঘৃণা ও নিন্দা জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, স্বাধীনতার মাসে তারা বক্তৃতা, বিবৃতি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই প্রচার তীব্র করেছে। বিএনপি-জামায়াতের এই রাজনীতি নতুন নয়। অতীতে পাকিস্তানি শাসকদের মত গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে বিভ্রান্ত করতে ও সা¤প্রদায়িক সুবিধা নিতে ভারতবিরোধিতার একই রাজনীতি করেছে। এবারও বিগত নির্বাচনী রাজনীতিতে পরাজিত হয়ে তারা তাদের পুরাতন সা¤প্রদায়িক রাজনীতি শুরু করেছে।
বিবৃতিতে বিএনপি-জামায়াত ও সহযোগীদের এই ভ্রান্ত প্রচারে বিভ্রান্ত না হতে ও তাকে প্রতিহত করে দেশে শান্তি স্থিতিশীলতা অব্যাহত রাখতে জনগণের প্রতি আহŸান জানানো হয়।