২৬ দিন পরই যুক্তরাষ্ট্রে ভোট এগিয়ে কমলা

0
34

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর মাত্র ২৬ দিন বাকি। ৫ নভেম্বরের এই ভোট যুদ্ধকে সামনে রেখে প্রধান দুই প্রতিদ্ব›দ্বী ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী কমলা হ্যারিস এবং রিপাবলিকান দলের ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন শেষ সময়ের দৌড়ঝাঁপ করে চলেছেন। এমন অবস্থায় ক্ষণে ক্ষণে পাল্টে যাচ্ছে জনমত জরিপের হিসাব-নিকাশ। কখনো দুজনের অবস্থান সমানে সমান, আবার কখনো অল্প আগেপিছে থাকছে। সূত্র : রয়টার্স, বিবিসি, এএফপি, আলজাজিরা। স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবারের খবর অনুযায়ী, ভোটারদের মধ্যে জনপ্রিয়তায় ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিস এবং রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে ব্যবধান আরও কমে ৩% দাঁড়িয়েছে। রয়টার্স/ইপসোস পরিচালিত নতুন জরিপে হ্যারিসের জনসমর্থন ৪৬% এবং ট্রাম্পের জনসমর্থন ৪৩% দেখা গেছে। এই কাছাকাছি অবস্থান আগামী ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে দুই প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস দিচ্ছে।
এর আগে ট্রাম্প ২০-২৩ সেপ্টেম্বরের রয়টার্স/ইপসোস জরিপে হ্যারিসের চেয়ে ৬% পেছনে ছিলেন। তাকে এবার ভোটাররা বেশি সমর্থন দিয়েছে বেশ কিছু অর্থনৈতিক বিষয়ের কারণে। তাছাড়া, দেশে থাকা অবৈধ অভিবাসীরা অপরাধের দিকে ঝোঁকে বলে ট্রাম্প যে মন্তব্য করেছিলেন, সে কারণেও কিছু ভোটার তাঁর দিকে চলে গিয়ে থাকতে পারে।
জরিপে ভোটাররা দেশের অর্থনৈতিক বিষয়গুলোকেই ওপরে রেখেছে। ৪৪% ভোটারই বলেছেন, জীবনযাত্রার ব্যয়ের সংকট নিয়ে ট্রাম্প সঠিক কথা বলেছেন। আর হ্যারিস এ বিষয়ে ভালো করেছেন বলে মত দেয় ৩৮% ভোটার। আমেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্টকে অর্থনৈতিক বিষয়গুলোর মধ্যে যেটি মোকাবিলা করতে হবে তার মধ্যে জীবনযাত্রার ব্যয়ের বিষয়টিকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন ৭০% ভোটার। চাকরি, কর এবং অর্থনৈতিক বিষয়গুলোতে সঠিক ব্যবস্থাপনার দিক থেকে ট্রাম্প ভোটারদের সমর্থন পাচ্ছেন বেশি। যদিও ধনী এবং সাধারণ আমেরিকানদের মধ্যে ফারাকের বিষয়টি সামনে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে ৪২% ভোটার হ্যারিসকেই বেশি ভালো মনে করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে থাকা অবৈধ অভিবাসীদের অপরাধের দিকে ঝোঁক আছে, এ প্রসঙ্গে নতুন জরিপে ৫৩% ভোটার ট্রাম্পের বক্তব্যকেই সমর্থন করেছে। আর সমর্থন করেনি ৪১%। অথচ এই একই প্রশ্নে গত মে মাসে ভোটারদের মধ্যে খুব কম ব্যবধান দেখা গিয়েছিল। ট্রাম্পের কথা সমর্থন করেছিল ৪৫% ভোটার। আর সমর্থন করেনি ৪৬% ভোটার।
হ্যারিস গত জুলাইয়ে নির্বাচনি দৌড়ে শামিল হওয়ার পর থেকে ট্রাম্পের চেয়ে জনসমর্থনে এগিয়েই থেকেছেন। তবে সর্বসা¤প্রতিক জরিপে নভেম্বরের নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সম্ভাবনা যাদের সবচেয়ে বেশি, এমন ভোটারদের মধ্যে হ্যারিসকে ট্রাম্পের চেয়ে ২% এগিয়ে থাকতে দেখা গেছে। হ্যারিস পেয়েছেন ৪৭% সমর্থন আর ট্রাম্প পেয়েছেন ৪৫% সমর্থন।
ভোটাররা ট্রাম্পের তুলনায় হ্যারিসকে মানসিকভাবে বেশি শক্ত-সমর্থ বলে মনে করে। নতুন জরিপে দেখা গেছে, ৫৫% ভোটারই বলেছে, হ্যারিস মানসিকভাবে চৌকশ এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম। আর ট্রাম্পের ক্ষেত্রে একই মত পোষণ করেছে ৪৬% ভোটার।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here