রাত পোহালেই মাঠে নামছে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। দীর্ঘ সাত বছরের অপেক্ষা ঘুচিয়ে বাঘেদের ডেরায় বাঘেদের মুখোমুখি হবে থ্রি লায়ন্সরা। বাঘ-সিংহের এই লড়াই অনুষ্ঠিত হবে শের-ই-বাংলায়, খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বেলা ১২টায়।
বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দল হয়েও বাংলাদেশকে নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় ইংল্যান্ড। কারণটাও অবশ্য যুক্তিসঙ্গত, দেশের মাটিতে বাঘ নামধারী বাংলাদেশ দলটাকে যে সত্যিকার বাঘ রূপেই দেখা মেলে। আর ফরম্যাট যখন ওয়ানডে, তখন সাকিব-তামিমদের যে গুণতেই হচ্ছে ইংল্যান্ড দলের।
২০১৫ বিশ্বকাপের পর থেকে ওয়ানডে ফরম্যাটে বাংলাদেশ দল যেন হয়ে উঠেছে অপ্রতিরোধ্য। বিশেষ করে দেশের মাটিতে। গত সাত বছরে দেশের মাটিতে ১৫টি দ্বিপক্ষীয় ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে টাইগাররা, যার মাঝে ১৪টি সিরিজেই জয়ী দলের নাম বাংলাদেশ। যেখানে পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো পরাশক্তি ছাড়াও ভারতকে একাধিকবার সিরিজ হারিয়েছে তামিম-সাকিবরা।
২০১৪ সালের নভেম্বরের পর দেশের মাটিতে দ্বিপক্ষীয় ও ত্রিদেশীয় সিরিজ মিলে মোট ৪৬টি ওয়ানডে খেলে বাংলাদেশ। যেখানে ৩৮টি ম্যাচেই শেষ হাসি হেসেছে টাইগাররা। আর হার মাত্র একটা সিরিজে। ইংল্যান্ড দল সেখানেই খুশী হয়ে উঠতে পারে, একমাত্র সিরিজ হারটা যে ছিল তাদেরই বিপক্ষে; ২০১৬ সালে। সাত বছর আগে সেবার ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছিল টাইগাররা।
সাম্প্রতিক ফর্মও অবশ্য টাইগারদের পক্ষেই কথা বলে। সদ্যই আরেক পরাশক্তি ভারতকে বাংলাদেশ দল নাকানিচুবানি খাইয়ে ছেড়েছে। সুবাদে আত্মবিশ্বাসের চূড়াতেই আছে তামিম বাহিনী। বিপরীতে বিশ্বকাপ শিরোপাধারীদের আকাশে দুশ্চিন্তার কালো মেঘ দানা বেঁধেছে। শেষ ১২ ওয়ানডে ম্যাচে থ্রি লায়ন্সরা মাত্র তিনটি জয়ের মুখ দেখেছে। আর শেষ সাত ম্যাচে মাত্র একটি!
এখন দেখার বিষয় এই সিরিজেও এমন অপ্রতিরোধ্য জয়যাত্রা ধরে রাখতে পারে কিনা বাংলাদেশ। নাকি ফের টাইগারদের রুখে দেবে ইংলিশ সিংহের দল?