ঢাকা ডেস্কঃ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের হাত থেকে জনগণের মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির লড়াই-সংগ্রাম চলবে। আর এজন্য দলের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে বলেছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা জনগণকে মুক্ত করতে চাই, গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে চাই, আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করতে চাই। এই মুক্তি আমরা যতক্ষণ না পর্যন্ত নিশ্চিত করতে পারব, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। আর এজন্য যেকোনো মূল্যে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আগামী দিনের আন্দোলন-সংগ্রামে সফল হতে হলে ঐক্যবদ্ধের বিকল্প নেই।’
বুধবার (১৫ মার্চ) জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাসের জাতীয় সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজধানীর গুলশানে ইমানুয়েলস পার্টি সেন্টারে সকাল ১১টায় এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
জাসাসের আহ্বায়ক চিত্রনায়ক হেলাল খানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকনের উপস্থাপনায় আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপির সাংস্কৃতিক সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জলসহ সারাদেশের ৬০ জেলার শীর্ষনেতারা।
গয়েশ্বর বলেন, ‘দেশের জনগণের একটাই দাবি-নিরপেক্ষ নির্বাচন। এই মুদ্রা পাচারকারী, শিশু হত্যাকারী সরকারকে এ দেশের জনগণ আর দেখতে চায় না। কিন্তু এ সরকার জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সাধারণ জনগণ ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। আশা করছি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাতে পারব এবং দেশের প্রকৃত মালিক জনগণ, তাদের মালিকানা ফেরত দিতে পারব।’
আন্দোলনের জাসাসের অনেক ভূমিকা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সামাজিক সাংস্কৃতিক আন্দোলন মানুষকে আকৃষ্ট করে। সহজেই সাধারণ মানুষ রাজপথে নেমে আসে। তাই আগামী দিনে আন্দোলনে সাংস্কৃতির বিপ্লবের মধ্যদিয়ে সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। যেমন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম তার কবিতা আর গানের মধ্যদিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে অধিকার আদায়ের শিহরণ তুলেছিলেন।’
সভাপতির বক্তব্যে জাসাসের আহ্বায়ক চিত্রনায়ক হেলাল খান বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাকে জাসাসের দায়িত্ব দিয়েছেন। এরপর ঢাকাসহ সারাদেশের জাসাসের ইউনিটগুলো ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছি। সাংগঠনিকভাবে কর্মিসভা করে যোগ্য নেতাদের খুঁজে কমিটি দিয়েছি। চেষ্টা করছি জাসাসকে শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে।’
জাসাসের সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকন বলেন, ‘জাসাসকে শক্তিশালী করতে প্রতিটি জেলায় গিয়ে কর্মিসভা করেছি। এ পর্যন্ত ৬০ জেলায় কমিটি দিয়েছি। যেখানে যে সমস্যা দেখা দিয়েছে তা নিরসনের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। সেইসাথে বিএনপি-ঘোষিত সব কর্মসূচিতে জাসাস সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছে। আগামীতে সরকারবিরোধী যেকোনো আন্দোলন-সংগ্রামে সামনে সারিতে থাকবে জাসাস।’