ম্যাথু মিলার বলছেন, আইনের অপব্যবহার হচ্ছে বলে ধারণা তৈরি হলে তা সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগে প্রভাব ফেলতে পারে।
নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলাগুলো বাংলাদেশে শ্রম আইন অপব্যবহারের উদাহরণ হিসাবে ব্যবহার হতে পারে বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার।
মঙ্গলবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ইউনূসের মামলার বিষয়ে এক প্রশ্নে এ মন্তব্য করেন মুখপাত্র ম্যাথু মিলার।
ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নিয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “ইউনূসের বিষয়ে, তার বিরুদ্ধে করা মামলার অগ্রগতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
“অনেক দিন ধরে আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছি যে, এই মামলাগুলো ড. ইউনূসকে হয়রানি ও ভীতিপ্রদর্শনের জন্য বাংলাদেশের শ্রম আইন অপব্যবহার হিসাবে উদাহরণ হতে পারে।”
গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘন এবং কর্মীদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আদালতে মামলা চলছে।
এর মধ্যে শ্রম আইন লঙ্ঘনের এক মামলায় জানুয়ারির শুরুতে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
আপিলে চলার মধ্যে ওই মামলায় জামিনে রয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস। এর মধ্যে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশের ২৫ কোটি ২২ লাখ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় গত ১২ জুন মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন ঢাকার একটি আদালত।
আগামী ১৫ জুলাই এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য তারিখ থাকার মধ্যে অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে আবেদন করেছেন অধ্যাপক ইউনূস।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, “শ্রম ও দুর্নীতিবিরোধী আইনের অপব্যবহার হচ্ছে বলে ধারণা তৈরি হলে তা আইনের শাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে এবং সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) কমিয়ে দিতে পারে বলে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অংশীদার হিসাবে আমরা উদ্বিগ্ন।”