ইসরাইলের ওপর ইরানের হামলা ব্যর্থ হওয়ার পর তেলের দাম কমেছে বলে আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা ইসরাইলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করতে ব্যর্থ হওয়ার পর তেলের দাম কমেছে এবং মার্কিন প্রশাসন স্পষ্ট করেছে যে- তারা ইরানের সাথে বৃহত্তর যুদ্ধকে সমর্থন করে না।
বিশ্লেষকরা বলেছেন যে- তেলের দামের প্রধান ঝুঁকি হলো- গাজা যুদ্ধের কারণে যদি সংঘর্ষ বাড়তে থাকে এবং হরমুজ প্রণালী দিয়ে ইরান তেল সরবরাহ ব্যাহত করে।
মার্কিন অবস্থান এবং ইরানের গৃহীত অবস্থান নির্দেশ করে যে- প্রতিশোধমূলক স্ট্রাইকের মাধ্যমে বিষয়টি ‘সমাপ্ত বলে মনে করা যেতে পারে’।
এদিকে তেল ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করেছে, তারা আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ০ দশমিক ৭ শতাংশ কমিয়ে ব্যারেল প্রতি ৮৯ দশমিক ৮২ ডলারে করেছে। এটি সপ্তাহান্তে হামলার আগে শুক্রবার ব্যারেল প্রতি ৯০ ডলারের কাছাকাছি ছিল।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, যে ঝুঁকিগুলি দাম বাড়াতে পারে তার মধ্যে রয়েছে ইরানের তেল স্থাপনার ইসরাইলি হামলা বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার কঠোর প্রয়োগ।
এসএন্ডপি গ্লোবালের বিশ্লেষকরা বলেছেন, ‘ইসরাইলের যেকোনো প্রতিশোধ, বিশেষ করে যেটি ইরানের তেল স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে করা হয়। এটি জ্বালানি বাজারের জন্য বড় প্রভাব ফেলবে।’
সূত্র : আল-জাজিরা