জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে যৌথ বিবৃতি দিয়েছে চীন ও পাকিস্তান। এ নিয়ে এবার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জম্মু ও কাশ্মীরকে যুক্ত করা ‘অযৌক্তিক উল্লেখ’ বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৪ থেকে ৮ জুন চীন সফর করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এ সময় চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। এরপর দুই দেশের পক্ষে যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, দুই দেশের শীর্ষ নেতা চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর সিপেক নিয়ে আলোচনা করেন। এই করিডোর পাকিস্তান অধ্যুষিত কাশ্মীরে অবস্থিত। জম্মু ও কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে চীনকে বিস্তারিত জানিয়েছে পাকিস্তান। জবাবে চীন এই সংকট সমাধানের তাগিদ দেয়।
বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘৭ জুন ২০২৪-এ চিন ও পাকিস্তানের যৌথ বিবৃতিতে জম্মু ও কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের অযৌক্তিক উল্লেখ করেছে। আমরা স্পষ্টভাবে এই ধরনের উল্লেখ প্রত্যাখ্যান করি।’
তিনি বলেন, ‘এই ইস্যুতে আমাদের অবস্থান সংশ্লিষ্ট পক্ষের কাছে সামঞ্জস্যপূর্ণ ও সুপরিচিত। জম্মু ও কাশ্মীরের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ও লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে। সেখানে অন্য কোনো দেশের অবস্থান নেই।’
পাকিস্তানের চরম অর্থনৈতিক সংকটের জন্য আংশিকভাবে দায়ী করা হয় ‘চীনা ঋণের ফাঁদকে’। শ্রীলংকাও এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।