বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, চলমান আন্দোলন এমন একটি পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে যে এখন একটা বার্তা দেয়ার সময় হয়েছে।
সোমবার (১০ জুলাই) বিকেলে বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের লিয়াজোঁ কমিটির সাথে এক বৈঠক শেষে তিনি একথা বলেন।
আমীর হোসেন মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘গণতন্ত্র মন্ত্রের সাথে আলোচনা করেছি। এর আগেও একাধিকবার বিভিন্ন দলের সাথে আলোচনা হয়েছে। আন্দোলন চলমান আছে, চলমান আন্দোলন এমন একটি পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে যে এখন একটা বার্তা দেয়ার সময় হয়েছে। আজ আন্দোলনের ব্যাপারে একটা যৌথ ঘোষণা দেয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী ১২ তারিখ একটা যৌথ ঘোষণা দেব। সেই ঘোষণা দেয়ার জন্য আমরা আলোচনা করেছি, একমত হয়েছি, ঐক্যমত হয়েছি। যুগপৎ আন্দোলনের সাথে যারা আছেন তাদের সবাইকে নিয়ে যৌথ ঘোষণা দেয়া হবে।’
গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক সাইফুল হক বলেন, ‘গত ৩১ ডিসেম্বর থেকে আমরা যুগপৎ আন্দোলন করছি। আন্দোলনের যৌথ ঘোষণা জন্য কয়েক মাস কাজ করেছি। সেই যৌথ ঘোষণা এখন আমরা চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে এসেছি। আমরা বিশ্বাস করছি। আশাও রাখতে চাই এই যৌথ ঘোষণার মধ্যে দিয়ে আন্দোলনের প্রতি মানুষের আস্থার জায়গা বাড়িয়ে তুলবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন একটি পরিবর্তনের সম্মুখে দাঁড়িয়ে আছে। অনতিবিলম্বে এই সরকারকে মানুষ আর দেখতে চায় না। ফলে মানুষের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা দেশবাসী দেখতে চায়। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো রাজপথে একটি কার্যকারী ঐক্য গড়ে তুলবে এবং এই দুঃশাসন থেকে দেশবাসীকে মুক্ত করবে।’
বিএনপির পক্ষ থেকে বৈঠকে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ভাইস-চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু উপস্থিত ছিলেন।
গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে জেএসডি সভাপতি আ স ম রব, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।