যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর হামলা হয়েছে। এ হামলার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো-বাইডেন ও ডেমোক্র্যাটদের দায়ী করেছেন শীর্ষস্থানীয় রিপাবলিকানরা।
রোববার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভাইস প্রেসিডেন্টের মনোনয়নপ্রত্যাশী সিনেটর জেডি ভ্যান্স ট্রাম্পের ‘হত্যার চেষ্টা’- এর জন্য বাইডেনের প্রচারণার ‘বাগাড়ম্বরপূর্ণ ভাষা’কে দায়ী করেছেন।
অন্যান্য নেতৃস্থানীয় রিপাবলিকানরাও বাইডেন ও ডেমোক্র্যাটদের দোষারোপ করেছেন।
কংগ্রেসওম্যান মার্জোরি টেলর গ্রিন যিনি সোচ্চার ট্রাম্প সমর্থক হিসেবে পরিচিত তিনিও ডেমোক্র্যাটদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন।
এদিকে রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান মাইক কলিন্স বলেছেন, ‘জো-বাইডেন আদেশ পাঠিয়েছেন।’
বাইডেন ও অন্যান্য নেতৃস্থানীয় ডেমোক্র্যাটরা ট্রাম্পের গুলি চালানোর ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন। তারা এই আশঙ্কা করেছেন যে- ক্রমবর্ধমান বক্তৃতা আরো অশান্তি সৃষ্টি করতে পারে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া রাজ্যের ২০ বছর বয়সী যুবক থমাস ম্যাথিউ ক্রুকস সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমাবেশে গুলি চালিয়েছেন বলে জানিয়েছে ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)।
এফবিআই বলছে, বন্দুকধারী এত গুলি চালাতে পেরেছে, যা বিস্ময়কর।
এফবিআই আরো বলছে, ট্রাম্পের ওপর হামলার উদ্দেশ্য শনাক্ত করতে পারেনি তদন্তকারীরা।
পেনসিলভানিয়ার বাটলারে এক নির্বাচনী প্রচারে হামলার ঘটনায় আহত সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন ‘ভালো আছেন’ বলে তার শিবির থেকে জানানো হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, তাকে যে গুলি করা হয়েছে তা তার ডান কানের ওপরের অংশে ভেদ করেছে।
হামলার ঘটনার পর দ্রুত সাবেক এই প্রেসিডেন্টকে সিক্রেট সার্ভিসের অ্যাজেন্টরা মঞ্চ থেকে সরিয়ে নেন। তখন দেখা যায় তার কান থেকে রক্ত পড়ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো-বাইডেন ও সব শ্রেণীর রাজনৈতিক নেতারা এ হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।
সূত্র : আল-জাজিরা