সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার পর ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়েছে। সেই নির্বাচনে জিতে দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট হয়েছেন উদারপন্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান।
তবে নতুন প্রেসিডেন্ট এলেও তার অধীনে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ইরানের অবস্থানে বড় কোনো পরিবর্তন আসবে না বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র।
গতকাল সোমবার মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ইরান যে পথে এগোচ্ছে বা তাদের যে নীতিগত অবস্থান, এই নির্বাচনের ফলে সেসবে বড় কোনো পরিবর্তন আসবে বলে আমরা মনে করি না। কারণ দিনশেষে ইরানের ভবিষ্যৎ নীতি নির্ধারণে প্রেসিডেন্ট নন, শেষ কথা বলেন সুপ্রিম লিডার।’
তবে নতুন প্রেসিডেন্ট যদি এই ধারণা ভুল প্রমাণ করতে পারেন, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাকে স্বাগত জানাবে বলে মন্তব্য করেন মিলার, ‘তবে নতুন প্রেসিডেন্ট যদি ইরানের পারমাণবিক প্রকল্পের কাজ সীমিত করতে পারেন, মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা তৈরি করে এমন কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে পারেন, তাহলে সেসব পদক্ষেপকে আমরা স্বাগত জানাব।’
মিলার যোগ করেন, ‘তবে এমন কিছু হবে বলে যে আমরা বিশ্বাস করি না, তা বলাই বাহুল্য।’
উল্লেখ্য, গত ৫ জুলাই সাঈদ জালিলির সঙ্গে দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে ৫৩.৭ শতাংশ ভোট নিয়ে ইরানের নবম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন পেজেশকিয়ান।