এন্টিগা টেস্টের প্রথম দিনটা পুরোপুরি নিজের করতে না পারলেও, খুব একটা মন্দ যায়নি বাংলাদেশের। বিশেষ করে শেষ বিকেলে মিকাইল লুইস ও আথানেজ ফেরায় স্বস্তি ফিরেছে টাইগার শিবিরে। দিন শেষ হবার আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫০ রান।
দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে অ্যান্টিগায় শুক্রবার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সাদা পোষাকে নেতৃত্বের অভিষেকেই টস জিতেন মেহেদী মিরাজ। টাইগার দলপতি নেন ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত।
শুরু থেকেই টাইগার বোলারদের দেখেশুনে খেলেন স্বাগতিক ব্যাটাররা। প্রথম ১৩ ওভার পর্যন্ত লাল সবুজদের কোনো সুযোগই দেয়নি তারা। শেষমেশ ১৪তম ওভারে এসে প্রথম উপলক্ষ পায় বাংলাদেশ, উইকেট এনে দেন তাসকিন।
এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলে ফেরান ক্রেইগ ব্রাথওয়েটকে। ৩৮ বলে ৪ রানে ফেরেন তিনি, রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি। আর কোনো রান যোগ হবার আগেই ফের আঘাত আনেন তাসকিন।
১৬তম ওভারে এসে ফেরান ক্যাসি কার্থিকে। ৮ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি ক্যাসি। ২৫ রানেই জোড়া উইকেট হারিয়ে বড় ধাক্কা খায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৫১ রানে ২ উইকেট নিয়ে মধ্যাহ্নভোজে যায় তারা।
মিকায়েল লুইস ও হজের জুটি বেশ জমে উঠে। ধীরে সুস্থে দেখেশুনে খেলছিলেন দু’জনে। ফিফটি তুলে নেন লুইস। যখন মনে হচ্ছিলো হয়তো বিপদ হয়ে উঠতে পারে এই জুটি, তখনই ফেরেন রান আউট হয়ে ফেরেন হজ (২৫)। ভাঙে ৫৯ রানের জুটি।
হজ আউট হলে অ্যালিক আথানেজকে সাথে নিয়ে এগোতে থাকেন লুইস। চা বিরতিতে যাওয়ার আগে স্বাগতিকদের স্কোরবোর্ডে তখন ৩ উইকেটে ১১৬ রান।
চা বিরতির পর চাপ সামলে ঘুরে দাঁড়ায় স্বাগতিকেরা।
দ্রুত রান তুলতে থাকে লুইস ও আথানেজ জুটি। বড় হতে থাকে দু’জনের ইনিংস। দু’জনেই জাগান শতকের সম্ভাবনা, যদিও আক্ষেপ নিয়েই ফিরতে হয়েছে তাদের।
সেঞ্চুরি থেকে যখন মাত্র ৩ রান দূরে থাকতে থামেন লুইস। মিরাজের শিকার হয়ে ২১৮ বলে ৯৭ রানে আউট হোন তিনি। ১৪০ রানের জুটি ভেঙে চতুর্থ উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ।
এরপর উইকেটে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি আথানেজও। তিনিও আউট হয়েছেন তাইজুলের বলে উইকেটের পেছনে লিটনকে ক্যাচ দিয়ে। আউট হওয়ার আগে ১৩০ বলে ৯০ রান। ২২৮ রানে ৫ উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এরপর ডি সিলভাকে সাথে নিয়ে দিনের বাকিটা সময় পার করেন জাস্টিন গ্রিভস। দিন শেষে ডি সিলভা অপরাজিত আছেন ১৪ রানে। অপর প্রান্তে গ্রিভস অপরাজিত আছেন ১১ রান নিয়ে।
প্রথম দিন শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৫০ রান। বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন আহমেদ নিয়েছেন ২ উইকেট। তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী মিরাজ নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।