পিপল আপ এর ১৪ দফা এজেণ্ডা বাস্তবায়নে পাশে থাকার অঙ্গীকার স্টিভ রাগার

0
150

স্যার ড. আবু জাফর মাহমুদ ডেমোক্রেট প্রাইমারিতে কুইন্স কাউন্টি কমিটির মেম্বার পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জয়ী। ডেমোক্রেটিক প্রাইমারি নিবার্চনে নিউইয়র্কের কুইন্স কাউন্টি কমিটির মেম্বার পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন স্যার ড. আবু জাফর মাহমুদ। শনিবার, উডসাইডের গুলশান টেরেসে আবু জাফর মাহমুদের নেতৃত্বধীন রাজনৈতিক সংগঠন পিপল ইউনাইটেড ফর প্রোগ্রেস আয়োজিত সাংগঠনিক নৈশভোজে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা দেন নিউইয়র্ক স্টেট এর অ্যাসেম্বলিম্যান স্টিভেন রাগা। এবার ডেমোক্রেটিক প্রাইমারিতে স্টিভেন রাগাও নির্বাচিত হয়েছেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায়।
উল্লেখ্য, স্যার ড. আবু জাফর মাহমুদ প্রথম বাংলাদেশি যিনি কুইন্স কাউন্টি মেম্বার পদে নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট দলের হয়ে প্রতিদ্ব›দ্বীতা করছেন। আগামী নভেম্বরের নির্বাচনে চূড়ান্তভাবে প্রার্থী হলেন তিনি।
পিপল আপ এর ওই সাংগঠনিক নৈশভোজে কুইন্স কাউন্টির ইন্টার গর্ভমেন্টাল অ্যাফেয়ার্স ডেপুটি চিফ হারিস কে প্যারেখ, গণতান্ত্রিক সমাজবাদী ইউনিয়ন নেতা ক্লেয়ার ভ্যালডেজ উপিস্থিত ছিলেন। এছাড়া ছিলেন বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ, সম্পাদক ও সাংবাদিকবৃন্দ।

WhatsApp Image 2024 06 30 at 12.15.22 d22f42bc

পিপল ইউনাইটেড ফর প্রোগ্রেসের প্রেসিডেন্ট স্যার ড. আবু জাফর মাহমুদ সূচনা বক্তব্যে আয়োজনটিকে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশিদের সীমানা অতিক্রমের একটি আনুষ্ঠানিক অধ্যায় উল্লেখ করে বলেন, যারা এতদিন বাংলাদেশি কমিউনিটিতে অবদান রেখেছেন, নেতৃত্ব দিয়েছেন তারা এখন দৃপ্তস্বরে, স্বগৌরবে বলতে পারবেন ডেমোক্রেটিক প্রাইমারি নিবার্চনে আমরাও মূলধারার নেতৃত্বে অংশীদার। তিনি জানান, কুইন্স কাউন্টি কমিটির মেম্বার পদে বিনা প্রতিদ্ব›দ্বীতায় তার জয়লাভের বিষয়টি একটা ইতিহাস ও একই সঙ্গে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা । এর কৃতিত্বের দাবিদার কমিউনিটির সকল মানুষ।
আবু জাফর মাহমুদ বলেন, যে কোনো যুদ্ধে আপনজন পাশে না থাকলে মনোবল থাকে না। মনোবল না থাকলে যোদ্ধার বিজয় হয় না। আর মনোবল হচ্ছে সবচেয়ে বড় হাতিয়া, আমার সেই শক্তি হলো যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশী ও সংগঠনের সকল কর্মীরা।

WhatsApp Image 2024 06 30 at 12.15.26 6af75536 edited

অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী নিবন্ধনভুক্ত ও নিবন্ধন বহির্ভূত সকল নাগরিকের পক্ষে পিপল আপ এর ১৪ দফা এজেণ্ডা তুলে ধরেন স্যার ডক্টর আবু জাফর মাহমুদ । বলেন, এই এজেণ্ডা আমেরিকায় নেতৃত্ব দেয় এমন শীর্ষ দল ও ব্যক্তিদের সাথে আলোচনা করে বাস্তবায়নের চেষ্টা চালানো হবে। এজেণ্ডার মধ্যে রয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত সকল অভিবাসীর দ্রæত নাগরিকত্ব দেয়া এবং ট্যাক্স প্রদানের আওতায় আনা। অভিবাসীদের সবার জন্য মেডিকেল ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা, কম মূল্যে অল্প আয়ের মানুষদের জন্য আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, শিশুদের খাবার, প্রসাধনীর মান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের কাজের সুযোগ নিশ্চিত করা, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কৃত ছাত্র-ছাত্রীদের শাস্তি মওকুফ করা ও শিক্ষাজীবনে ফিরিয়ে নেয়া, ছাত্র-ছাত্রীদের ফেডারেল ঋণ মওকুফ ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা দেয়া, আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সরকারী কোষাগার থেকে তহবিল সংস্থান করা, শিক্ষা ক্ষেত্রে – প্রশাসনে সবোর্চ্চ দেশপ্রেমের অগ্রাধিকার চর্চা নিশ্চিত করা, মুসলীম অধ্যুষিত রাষ্ট্রগুলোর সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সর্ম্পক জোরদার করা, উবার চালক-দোকান কর্মচারীদের অধিকার আদায়, নারীদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা, সুপার পাওয়ার যুক্তরাষ্ট্রের শক্তি সুসংহত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া ।

20240629 223137 edited

অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রে ডেমোক্রেটিক প্রাইমারি নিবার্চনে নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলিম্যান স্টিভেন রাগা আবু জাফর মাহমুদের ১৪ দফা প্রস্তাবনাকে সময়োপযোগী উল্লেখ করে তা একসাথে বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেন। বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত অভিবাসীদের নূন্যতম মৌলিক অধিকার নিশ্চিতে একযোগে কাজ করা হবে। এজন্য আসছে নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র নিবার্চনে তাদের জয়ী হওয়া জরুরী । আর এর জন্য বাংলাদেশী কমিউনিটির সহযোগিতা প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন তিনি। স্টিভেন রাগা বলেন, নিউইয়র্কে পিছিয়ে পড়া, স্বল্প আয়ের মানুষদের জীবন-জীবিকার অধিকার নিশ্চিত করতে ডেমোক্রেটিক পার্টি সোচ্চার। প্রথম বছরে জয়ী হয়ে তিনি এরই মধ্যে ৩০ মিলিয়ন ডলার দক্ষিন এশীয় নাগরিকদের শিক্ষা-স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ রেখেছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, এ বরাদ্দ সামনে আরো বাড়ানো হবে, নতুন বিনিয়োগ যুক্ত হবে।
সুধী সমাবেশে স্যার ডক্টর আবু জাফর মাহমুদকে আনুষ্ঠানিকভাবে ধন্যবাদ জানান তিনি। বলেন, এদেশে অভিবাসনের অবস্থা যা-ই হোক না কেন, সবার স্বাস্থ্যসেবা প্রয়োজন। নাগরিকরা যা-ই উপার্জন করুন না কেন, আবাসন প্রয়োজন। অভিবাসীরা যতো ধনী হোক না কেন, সঠিক শিক্ষার প্রয়োজন। যার জন্য ডেমোক্র্যাটরা অ্যালবনিতে লড়াই করেছে। আগামী নভেম্বরে এর প্রতিফলন ভোটে থাকতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, আসন্ন নির্বাচনের জন্য এমন অনেক পদ রয়েছে যেখানে দাঁড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। এক্ষেত্রে আবু জাফর মাহমুদের নেতৃত্ব ও সাংগঠনিক দক্ষতা যথার্থ যথার্থ বলে উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, নিবার্চনে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত সকল কমিউনিটির সক্রিয় অংশগ্রহণ, অবদান থাকা প্রয়োজন। অনুষ্ঠানটি সার্বিক পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন মূলধারার ট্রেড ইউনিয়ন নেতা মিলন রহমান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here