২১ দিন বাইরে থাকার পর গতকাল বিকালে তিহার জেলে আত্মসমর্পণ করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আম আদমি পার্টির (আপ) নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সূত্র : আনন্দবাজার, আজকাল। জেলে যাওয়ার আগে তিনি রাজঘাট, হনুমান মন্দির এবং আপের সদর দফতর ঘুরে যান। তিনি দুপুর ৩টার দিকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন থেকে বের হন। সেখান থেকে চলে যান রাজঘাটে। মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিসৌধে মালা দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। তারপর হনুমান মন্দির ঘুরে যান আপের সদর দফতরে। সেখানে তাঁকে দেখার জন্য ভিড় করেছিলেন আপের কর্মী-সমর্থকেরা। তাঁদের উদ্দেশে কেজরি বলেন, ‘আমি ২১ দিনের ১ মিনিটও নষ্ট করিনি। আমি সমস্ত দলের হয়ে প্রচার করেছি। আমি দেশকে বাঁচানোর জন্য প্রচার সেরেছি। দেশ আগে, তার পর আমার দল।’ এখানেই থেমে থাকেননি কেজরি। তিনি আরও বলেন, ‘প্রচার অভিযানের সময় সবচেয়ে ভালো জিনিস যেটা ঘটেছে, সেটা হলো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বীকার করেছেন, আমার বিরুদ্ধে তাঁর কাছে কোনো প্রমাণ নেই। কেজরি বলেন, এটা একনায়কত্ব। যাকে ইচ্ছে জেলে ঢুকিয়ে এই বার্তাই দেওয়ার চেষ্টা চলছে, যখন কেজরিওয়ালকে জেলে রাখা যায়, তো যে কাউকে জেলে ঢোকানো সম্ভব।’ এ সময় কেজরিওয়ালের সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী সুনীতা, দিল্লির মন্ত্রী অতিশী মারলেনা, কৈলাশ গৌহলত, সৌরভ ভরদ্বাজ। আরও ছিলেন রাজ্যসভার সংসদ সদস্য সঞ্জয় সিংহ, সন্দীপ পাঠক এবং দলীয় নেতা দুর্গেশ পাঠকসহ অন্যেরা।
প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের কারণে সুপ্রিম কোর্ট কেজরিওয়ালের অন্তর্র্বতীকালীন জামিন মঞ্জুর করেছিল। তবে সুপ্রিম কোর্টের শর্ত ছিল, জামিনে মুক্তি পাওয়া ২১ দিনে কেজরিওয়াল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর ভবন কিংবা সচিবালয়ে যেতে পারবেন না। তাঁর বিরুদ্ধে চলা মামলা নিয়ে কোথাও কোনো মন্তব্য করতে পারবেন না। অবশ্য জামিনে মুক্তি পেয়ে দলের হয়ে টানা প্রচার চালিয়েছেন তিনি।