রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) নির্বাচনে আবারো মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী ও দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার ও এবার দিয়ে তৃতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হলেন তিনি।
বুধবার (২১ জুন) রাতে রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন এ ফলাফল ঘোষণা করেন। এ দিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে ভোটগ্রহণের পর জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমি মিলনায়তন থেকে ফল ঘোষণা করা হয়।
রাজশাহী সিটিতে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। এদের মধ্যে ১ লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন পুরুষ ভোটার। নারী ভোটার ১ লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন। আর ছয়জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন।
নির্বাচনে মেয়র পদে চারজন, ৩০টি সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১১১ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
নগরীর ১৫৫টির মধ্যে সবকটি কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত ফলাফলে ১ লাখ ৬০ হাজার ২৯০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। আর নির্বাচন বয়কট করা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুরশিদ আলমের হাতপাখা প্রতীকে পড়েছে ১৩ হাজার ৪৮৩ ভোট। জাকের পার্টির মেয়রপ্রার্থী লতিফ আনোয়ার গোলাপ ফুল প্রতীকে ১১ হাজার ৭১৩ ভোট পেয়েছেন। এছাড়া জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ১০ হাজার ২৭২ভোট।
উল্লেখ্য, বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর রাজশাহী সিটিতে ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী মুরশিদ আলম (হাতপাখা) নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দেন।
এর আগে ২০০৮ সালের নির্বাচনে প্রথমবারের মতো রাসিকের মেয়র নির্বাচিত হন আ’লীগের প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটন। এরপর ২০১৩ সালে রাসিকের মেয়র নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের কাছে পরাজিত হন লিটন। তবে ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী বুলবুলকে পরাজিত করে আবারো লিটন মেয়র নির্বাচিত হন।
তবে এবার রাসিক নির্বাচনে এমনিতেই কোনো শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না। তার ওপর মাঠের প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ বেশ কিছু রাজনৈতিক দল অংশ নেয়নি। এ অবস্থায় লিটন আবারো মেয়র নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন, আগে থেকে এমনটিই ধারণা করা হচ্ছিল।