ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আমরা সুসম্পর্ক ধরে রাখতে চাই। মঙ্গলবার তৃতীয় দফা নরেন্দ্র মোদি সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের ১০০ দিন উপলক্ষ্যে এনডিটিভিকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
জয়শঙ্কর বলেন, আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্থিতিশীল রাখতে চাই। প্রতিবেশীরা একে অপরের ওপর নির্ভরশীল।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে যা ঘটেছে, সেটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশ আমাদের প্রতিবেশী এবং আমাদের পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে আমরা সম্পর্ক স্থিতিশীল রাখতে চাই। তাদের সঙ্গে আমাদের মধ্যে ভালো বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে; আমাদের জনগণের সঙ্গে তাদের জনগণের সম্পর্কও ভালো। আমরা সম্পর্কটা এভাবেই ধরে রাখতে চাই।
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। তারপর থেকে তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন। প্রাথমিকভাবে তিনি অল্প সময় ভারতে থাকবেন বলে আশা করা হলেও এখন তিনি অন্য কোনো দেশে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে এখন পর্যন্ত তিনি এ বিষয়ে সফল হননি।
এর আগে গত মাসে ভারতীয় পার্লামেন্টে জয়শঙ্কর বলেছিলেন, শেখ হাসিনা খুব স্বল্প নোটিশে দিল্লি আসার অনুমতি চেয়েছিলেন।
এদিকে ভারতের সঙ্গেও সুসম্পর্ক রাখার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন অর্ন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ৫ সেপ্টেম্বর ভারতের বার্তা সংস্থা পিটিআই-এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সবাই ইসলামপন্থি, বিএনপিপন্থি। ইসলামপন্থিরা এই দেশকে আফগানিস্তানে পরিণত করবে। আর বাংলাদেশ শেখ হাসিনার হাতেই নিরাপদ। এসব ধারণা থেকে ভারতকে বেরিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশও অন্য প্রতিবেশীর মতো একটি প্রতিবেশী দেশ।
তবে শেখ হাসিনার প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তার প্রত্যর্পণ না চাওয়া পর্যন্ত দুই দেশের সম্পর্কের আপস প্রতিরোধে তাকে অবশ্যই নীরব থাকতে হবে। তিনি বলেন, ‘যদি ভারত তাকে রাখতে চায়, যতক্ষণ না বাংলাদেশ তাকে ফেরত চায়, শর্ত হবে-তাকে চুপ থাকতে হবে।’