এক-এগারোর মতো বিএনপিকে মিডিয়া ট্রায়ালের সম্মুখীন করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
সোমবার রাজধানীর গুলশানে হোটেল লেকশোরে জাতীয়তাবাদী অনলাইন এক্টিভিস্টদের সম্মানে এক দোয়া ও ইফতার মাহফিলে লন্ডন থেকে ভার্চুয়্যালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর তত্ত্বাবধানে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আয়োজনে ৩১ দফার উপর একটি ডকুমেন্টারি উপস্থাপন করা হয়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আগামীতে যদি স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়, বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের সমর্থন বিএনপির পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এই সম্ভাবনা যত বেশি উজ্জ্বল হচ্ছে, তত বেশি বিএনপিকে মিডিয়া ট্রায়ালের সম্মুখীন করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, সোমবার সকালেও বাংলাদেশের কয়েকটি পত্রিকায় কিছু ঘটনা দেখলাম, দেখার পরে কেন্দ্রীয় অফিসে (নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়) যখন আমি খবর নিলাম- তারা আমাকে জানালো, ঘটনা ঘটেছে এমন। আর পত্রিকায় উপস্থাপন করা হয়েছে আরেকরকম।
তারেক রহমান বলেন, একটি মহল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ও জাতীয়তাবাদী শক্তির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। তারা একইসাথে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধেও অবস্থান নিয়েছে। এখন তাদের সাথে যেসব মিডিয়া হাউজের সম্পর্ক আছে, তাদের মাধ্যমে ১/১১-এর সময় যেভাবে বিএনপিকে মিডিয়া ট্রায়ালের সম্মুখীন করা হয়েছিল, একই রকম প্রেক্ষাপট তৈরিও চেষ্টা করছে।
তারেক রহমান বলেন, যে ষড়যন্ত্র ছিল দেশের জনগণ, গণতন্ত্রের ভিত্তি ও দেশের বিরুদ্ধে- একটি ষড়যন্ত্র আবারো শুরু হয়েছে। এটি শুধু কথার কথা না। এই রকম একটি ঘটনা দিনদিন গড়ে উঠছে। বাংলাদেশের অস্তিত্ব, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র এবং জাতীয়তাবাদী শক্তিসহ সকল কিছুর বিরুদ্ধে এমন একটি ষড়যন্ত্র ধীরে ধীরে গড়ে উঠছে।
জনগণ যে নির্বাচনের ভোট দিয়ে তার মতামত দিতে পারবে, ওই নির্বাচনের পক্ষে বিএনপি আছে বলেও জানান তারেক রহমান।
স্বৈরাচারের আমল থেকে শুরু করে এই মুহূর্ত পর্যন্ত বাংলাদেশে জনগণের কাছে জবাবদিহিতার কোনো সরকার নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, এখানে একজন বক্তা নতুন ভোটের কথা বলেছেন, তাদের কী চিন্তা-ভাবনা, এগুলো এখনো আমরা ঠিক জানি না। আমি তো মনে করি, নতুন যারা ভোটার- এদের কাছে যুক্তি-তর্ক সকল কিছু দিয়ে আপনারা (অনলাইন এক্টিভিস্ট) তাদের মোটিভেট করতে সক্ষম বলে আমি বিশ্বাস করি।
অনলাইন এক্টিভিস্টদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যখন থেকে বাংলাদেশে বাংলাদেশের জনগণ এবং গণতন্ত্রের ঘাড়ে স্বৈরাচার চেপে বসেছিল, তখন থেকে আপনারা সংগঠিত হয়ে জনগণ ও বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের কথা তুলে ধরেছেন- যে যুদ্ধ আপনারা করেছেন, যার কারণে আপনাদেরকেও বিভিন্ন অত্যাচার ও নির্যাতনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে, ওই পরিস্থিতি মোকাবিলা করে আপনারা এসেছেন, তার জন্য আপনাদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সভাপতিত্বে এই আয়োজনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম, স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ অনলাইন এক্টিভিস্টরা বক্তব্য রাখেন।