দেয়াল লিখন প্রায় স্পষ্টই ছিল। চলতি বছর একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্ব থেকে বিদায় নেয়ার দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে ছিল দু’বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। একটাই সুযোগ ছিল। সুপার সিক্স পর্বে নিজেদের তিনটি ম্যাচই জিততে হতো নিকোলাস পুরানদের। কিন্তু প্রথম ম্যাচেই স্কটল্যান্ডের কাছে হেরে গেলেন তারা। তার ফলে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ হলেন জেসন হোল্ডাররা। ভারতে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপে খেলতে দেখা যাবে না তাদের। বাকি দু’টি ম্যাচ নিয়মরক্ষার হয়ে দাঁড়াল ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে।
১৯৭৫ সাল থেকে শুরু হওয়া একদিনের বিশ্বকাপ ও ২০০৭ সাল থেকে শুরু হওয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই প্রথমবার যোগ্যতা অর্জন করতে ব্যর্থ ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
গ্রুপ পর্বে জিম্বাবোয়ে ও নেদারল্যান্ডসের কাছে হেরে নিজেদের ভাগ্য নিজেরাই কঠিন করে ফেলেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সুপার সিক্সে যোগ্যতা অর্জন করলেও পুরানদের ঝুলিতে কোনো পয়েন্ট ছিল না। অন্য দিকে জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কা চার পয়েন্ট নিয়ে গিয়েছিল সুপার সিক্সে। সেখানে নিজেদের প্রথম ম্যাচ জেতে দু’দল। ফলে স্কটল্যান্ডের কাছে হারলেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিদায় নিশ্চিত ছিল। সেটাই হলো।
জিম্বাবুয়ের হারারে স্পোর্টস কমপ্লেক্সে প্রথমে ব্যাট করে ৪৩.৫ ওভারে ১৮১ রানে অলআউট হয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। হোল্ডার ছাড়া আর কেউ রান পাননি। দলের প্রথম পাঁচ ব্যাটারই ব্যর্থ। পুরান ও হোল্ডার না থাকলে আরও সমস্যায় পড়ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পুরান ২১ ও হোল্ডার ৪৫ রান করেন। রোমারিয়ো শেফার্ড করেন ৩৬ রান। জিম্বাবোয়ের হয়ে ব্রেন্ডন ম্যাকুলেন ৩, ক্রিস সোল, মার্ক ওয়াট ও ক্রিস গ্রিভস ২ ও সাফিয়ান শরিফ ১ উইকেট নেন।
জবাব রান তাড়া করতে নেমে প্রথম বলেই উইকেট হারায় স্কটল্যান্ড। ওই উইকেটের ফায়দা তুলতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ম্যাথু ক্রস ও ম্যাকুলেনের মধ্যে ১২৫ রানের জুটি হয়। ওই জুটিই হারিয়ে দেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। তবে তার জন্য দলের ফিল্ডাররা অনেকটাই দায়ী। এবারের যোগ্যতা অর্জন পর্বে এই ম্যাচের আগে পর্যন্ত মোট ১৩টি ক্যাচ ফেলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধেও পড়েছে দু’টি ক্যাচ। তার খেসারত দিতে হয়েছে দলকে।
শেষ দিকে কয়েকটি উইকেট নিলেও তাতে হার বাঁচাতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সহজেই সাত উইকেটে ম্যাচ জিতে যায় স্কটল্যান্ড। সেইসাথে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্বকাপ বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায়।