ইসরাইলি বাহিনী বুধবার বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরতলীতে হিজবুল্লাহর লক্ষ্যবস্তুতে নতুন করে বিমান হামলা চালিয়েছে। অন্যদিকে গ্রুপটি বলেছে, সীমান্তের কাছে লেবাননের বেশ কয়েকটি শহরে ইসরাইলি সেনাসদস্যদের সাথে তাদের সংঘর্ষ হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, বুধবার গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসে ইসরাইলি সেনা বিমান ও স্থল হামলা চালিয়েছে। এতে অন্তত ৫১ জন নিহত ও ৮২ জন আহত হয়েছে।
জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদ বুধবার এই অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান সংঘাত নিয়ে আলোচনা করার জন্য বৈঠকে বসার প্রস্তুতি নিয়েছে। আলোচ্যসূচির মধ্যে এক দিন আগে ইসরাইলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
মঙ্গলবার গুতেরেসের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে সুনির্দিষ্টভাবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা উল্লেখ না করে সহিংসতা বৃদ্ধি বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে।
ফ্রান্স ও জার্মানির নেতারা বুধবার পৃথক বিবৃতিতে ইরানের হামলার নিন্দা জানান। জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস বলেন, ইরান ‘পুরো অঞ্চলে আগুন লাগিয়ে দেয়ার ঝুঁকি নিচ্ছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন মঙ্গলবার রাতে এক বিবৃতিতে ইরানের হামলার নিন্দা জানিয়ে একে ‘জঘন্য আগ্রাসন’ বলে অভিহিত করেন।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, তার দেশে বড় আকারের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ইরানের শাসকরা ‘বড় ভুল’ করেছে এবং তারা ‘এর জন্য মূল্য দেবে’।
ইসরাইল এবং যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানান, মঙ্গলবার রাতের পর ইরান ইসরাইলের বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রায় ২০০ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এর বেশিভাগই ইসরাইলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজের সহায়তায় ইসরাইলের বাহিনী ভূপাতিত করেছে। ইসরাইল ও ইরানের আঞ্চলিক প্রক্সিগুলোর মধ্যে বছরব্যাপী চলা সংঘাতের মধ্যে এ হামলা চালানো হলো।
মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে এক ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘আমার নির্দেশে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী ইসরাইলের প্রতিরক্ষায় সক্রিয়ভাবে সমর্থন দিয়েছে। আমরা এখনো এর প্রভাব মূল্যায়ন করছি, তবে এখন আমরা যা জানি তার ভিত্তিতে মনে হচ্ছে আক্রমণটি সফল হয়নি এবং তা অকার্যকর ছিল।’
সূত্র : ভিওএ