ব্রহ্মপুত্রের ওপর বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের ঘোষণা চীনের, প্রতিবাদ ভারতের

0
9

চীনের তিব্বতে ইয়ারলুং জাংবো নদে (ব্রহ্মপুত্র) বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধ নির্মাণের প্রকল্প ঘোষণা করেছে চীন। এই খবরে ভাটির দেশ হিসেবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত।

ব্রহ্মপুত্র নদটি বিশাল বাঁক নিয়ে ভারতের অরুণাচল রাজ্যে প্রবেশ করে তারপর বাংলাদেশে প্রবাহিত হয়।

এ বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, এ বিষয়ে ভারতের মতামত ও উদ্বেগের কথা চীনকে জানানো হয়েছে।

রণধীর জয়সওয়াল বলেন, অভিন্ন নদীর ক্ষেত্রে ভাটির দেশেরও কিছু অধিকার আছে। রাজনৈতিক ও বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে ওই অধিকারের কথা বারবার জানানো হয়েছে। ওই অধিকার ও স্বার্থের বিষয়ে ভারতের পর্যবেক্ষণ জারি আছে। সরকার সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও গ্রহণ করবে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, এ ধরনের প্রকল্প গ্রহণের আগে ভাটির দেশের সাথে আলোচনা করা জরুরি। পরিস্থিতির ওপর ভারত নজর রাখছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে।

চীন কয়েক দিন আগেই ব্রহ্মপুত্র নদীর ওপর ভারত সীমান্তের কাছাকাছি তিব্বতে বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধ নির্মাণের জন্য ১৩৭ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ের একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। এই বাঁধ হিমালয়ের এমন এক গভীর গিরিখাতে নির্মাণ করা হবে যেখানে ব্রহ্মপুত্র নদ বিশাল বাঁক নিয়ে ভারতের অরুণাচল রাজ্যে প্রবেশ করে এবং তারপর বাংলাদেশে প্রবাহিত হয়। দেশটির ‘থ্রি গর্জেস’ বাঁধের চেয়ে বড় প্রস্তাবিত এই বাঁধ। এটি নির্মিত হলে তা হবে পৃথিবীর বৃহত্তম বাঁধ।

এই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ভারতের অরুণাচল প্রদেশের সীমান্তবর্তী তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের নিংট্রি (নিয়ংচি) প্রাদেশিক এলাকার মেদোগ (চীনা ভাষায় মোতুও) বিভাগে নির্মিত হবে।

বাঁধ নির্মাণ ছাড়াও লাদাখের কিছু এলাকা নিয়ে হোটন প্রদেশে চীন দুটি নতুন প্রশাসনিক অঞ্চল বা কাউন্টি গড়ে তুলেছে। সম্প্রতি সেই ঘোষণা দিয়েছে তারা। ওই সিদ্ধান্তেরও প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত।

জয়সওয়াল বলেন, ওই তল্লাটে চীনের দখলদারি ভারত কখনো মেনে নেয়নি, নেবেও না। তাদের ওই ঘোষণা ভারতের সার্বভৌমত্বের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। ওই এলাকা ভারতের ছিল, ভারতেরই থাকবে। কূটনৈতিক পর্যায়ে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হবে।

সূত্র : এনটিভি ও অন্যান্য

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here