ভারতে এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিশ্বের সর্বোচ্চ ভোটদানের রেকর্ড গড়েছে দেশটি। এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) রাজীব কুমার বলেছেন, ‘এ বছরের লোকসভা নির্বাচনে ৬৪ কোটি ২ লাখ ভোটার ভোট প্রদান করে বিশ্বরেকর্ড গড়লেন।’ এর মধ্যে ৩১ কোটি ২ লাখ নারী ভোটার ছিলেন। লোকসভা নির্বাচনের ভোটগণনা আজ থেকে শুরু হবে। এর আগেই সোমবার এমন খবর দিয়েছেন রাজীব কুমার। এনডিটিভি।
রাজীব আরও বলেছেন, ভোটগণনায় কারচুপির কোনো সুযোগ নেই। এটি খুবই বলিষ্ঠ একটি প্রক্রিয়া। দেশে মোট সাড়ে ১০ লাখ বুথ রয়েছে। ৩০ থেকে ৩৫ লাখ পোলিং এজেন্ট থাকবেন বাইরে। এছাড়া নজরদারি দল থাকবেন। পাশাপাশি গণনায় অফিসাররাও থাকবেন।
সিসি ক্যামেরারও ব্যবস্থা থাকবে। কোনো ভুল হতেই পারে না। বিভিন্ন দল ভোটগণনা নিয়ে যে দাবি করেছিলেন সব মেনে নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। সিইসি বলেছেন, নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গের যেসব অভিযোগ পেয়েছি তার ৯০ শতাংশের বেশি আমরা খতিয়ে দেখেছি। নেতাদের স্বজনদের ভোটের দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে। মানুষ এগিয়ে এসে ভোট দিয়েছেন। ২৩টি দেশ থেকে ৭৫ জন এসে ভারতের অনেক বুথ ঘুরে দেখে দেখেছেন। অতীতে নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে রাজীব বলেছেন, আমরা কী রকম সহিংসতা দেখতাম আপনাদের মনে আছে। কিন্তু এ বছর সেরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। ঝাড়খণ্ড, মণিপুর, ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ, কাশ্মীরসহ সারা দেশে সেরকম কোনো হিংসার ঘটনা ঘটেনি।
তবে এবার ভারতে ভোট প্রদানে বিশ্ব রেকর্ড অর্জন করেছে। এই নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করার রেকর্ড তৈরি করেছে বলেও জানান তিনি। এটি ২০১৯ সালে বাজেয়াপ্ত করা মূল্যে প্রায় তিনগুণ।
পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন-পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে রাজীব কুমার বলেছেন, আমরা আশাবাদী এবং আত্মবিশ্বাসী যে কোনো সহিংসতা হবে না। তবে যদি হয়, তা মাথায় রেখে কয়েকটি রাজ্যে সিআরপিএফ থাকবে। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গও রয়েছে। আমরা নিশ্চিত, রাজ্য সরকার ও সিআরপিএফ ভোট-পরবর্তী সহিংসতা হতে দেবে না। এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিরোধী নেতাদের কাছ থেকে ভোট প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার চেষ্টার অভিযোগের প্রমাণ চান। প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই নির্বাচনে ৬৮ হাজারেরও বেশি মনিটরিং টিম এবং দেড় কোটি পোলিং ও নিরাপত্তাকর্মী নিয়োজিত ছিল।