মঙ্গলবার রাশিয়ার মস্কো থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে একটি ড্রোনকে গুলি করে নামিয়েছে রাশিয়ার সেনা। যে অঞ্চলে ড্রোনটিকে গুলি করে নামানো হয়েছে, তার পাশেই রাশিয়ার তেল ও গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থা গ্যাসপ্রমের একটি ডিপো। তবে রাশিয়ার সংবাদসংস্থাকে গ্যাসপ্রম জানিয়েছে, তাদের ডিপোয় কোনো ক্ষতি হয়নি।
মস্কোর গভর্নর আন্দ্রেই ভরোবাইঅভ জানিয়েছেন, ড্রোনটি ইউক্রেনের। কোলামনা অঞ্চলে গ্যাসপ্রমের ডিপো ও একটি বেসামরিক কাঠামো ধ্বংস করার জন্যই ড্রোনটি পাঠানো হয়েছিল বলে তার দাবি। তবে তার আগেই রাশিয়ার সেনা ড্রোনটিকে গুলি করে নামিয়ে নেয়।
রাশিয়ার ভিতর কোনো আক্রমণই এখন পর্যন্ত স্বীকার করেনি ইউক্রেন। এর আগে সীমান্ত অঞ্চলে সেনাঘাঁটিতে ড্রোন আক্রমণ হয়েছে। তার দায়ও ইউক্রেন স্বীকার করেনি। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা নিয়েও ইউক্রেন কোনো মন্তব্য করেনি।
রাশিয়া অবশ্য ড্রোনটির মডেল ও নম্বর প্রকাশ করেছে। ইউজে-২২ এয়ারবর্ন মেকের ড্রোনটি মূলত ইউক্রেনই ব্যবহার করছে বলে রাশিয়ার দাবি। ইউক্রেনের ‘উকারজেট সংস্থা’ ওই ড্রোনগুলো তৈরি করে।
ইউক্রেন প্রশাসনের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ‘রাশিয়ার ভিতর প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দূর পৌঁছে গেছিল ড্রোনটি। এরপর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নিশ্চই ঘর থেকে বার হতে ভয় পাবেন। যেকোনো সময় তার সামনে ড্রোন পৌঁছে যেতে পারে।’
মঙ্গলবার রাতে রাশিয়ার সেনা দাবি করেছে যে একটি নয়, দুটি ড্রোনকে দক্ষিণ রাশিয়ায় গুলি করে নামিয়েছে। অন্য ড্রোনটির তথ্য অবশ্য এখনো দেয়া হয়নি। প্রথম ড্রোনটির একটি ছবি প্রকাশ করেছে রাশিয়া। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বরফ ঢাকা রাস্তায় ড্রোনটি পড়ে আছে।
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া ও ইউক্রেন দু’পক্ষই ড্রোন ব্যবহার করছে। এর আগে রাশিয়ার একাধিক ড্রোন গুলি করে নামিয়েছে ইউক্রেন।
সূত্র : ডয়চে ভেলে