আলোচকরা একটি সংক্ষিপ্ত অস্ত্রবিরতি-পণবন্দী বিনিময় চুক্তির জন্য চাপ দেয়া অব্যাহত রাখলেও গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস জানিয়েছে, তারা যুদ্ধ স্থায়ীভাবে বন্ধ না করা হলে এ ধরনের কোনো ব্যবস্থায় রাজি হবে না। মিসর, যুক্তরাষ্ট্র, কাতার চার পণবন্দীর মুক্তির বিনিময়ে দু’দিনের অস্ত্রবিরতির ওপর চাপ দিচ্ছে। তারা বলছে, এর মাধ্যমে হামাসের হাতে থাকা ১০১ বন্দীর মুক্তির আলোচনা শুরু হতে পারে।
এ প্রেক্ষাপটে হামাসের সিনিয়র কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি মঙ্গলবার বলেছেন, তারা গাজায় যুদ্ধের অবসান এবং উপত্যকা থেকে ইসরাইলি বাহিনীর পুরোপুরি প্রত্যাহারের যেকোনো চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী। আর এটা হামাসের সবসময়ের অবস্থান।
টেলিভিশনে প্রচার করা বক্তৃতায় আবু জুহরি বলেন, ‘গাজায় আমাদের জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘবের যেকোনো চুক্তির ব্যাপারে আমরা আলোচনা করতে রাজি আছি।’
তিনি আরো বলেন, মধ্যস্ততাকারীদের কাছ থেকে পণবন্দী মুক্তি ও যুদ্ধবিরতির একটি নতুন প্রস্তাব তারা পেয়েছেন।
উল্লেখ্য, হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হওয়ার পর ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র আশা করেছিল যে এবার গ্রুপটি তাদের শর্তের ব্যাপারে নমনীয় হবে। বিশেষ করে পণবন্দী মুক্তির চুক্তি না হওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সিনওয়ারকে দায়ী করে আসছিল। কিন্তু সিনওয়ারের মৃত্যুর পরও হামাস তার অবস্থানে অটল রয়েছে।
চলতি সপ্তাহে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর পরিচালক উইলিয়াম বার্নস, ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোশাদের পরিচালক ডেভিড বারনিয়া এবং কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-সানি দোহায় একটি চুক্তির ব্যাপারে আলোচনা করেন। তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন যে একটি ছোট আকারের চুক্তি হলে তা দু’পক্ষের মধ্যে আস্থা বাড়াতে সহায়ক হবে।
মিসরের মিনি চুক্তিতে বলা হয়েছিল যে চার পণবন্দীর মুক্তির বিনিময়ে ৪৮ ঘণ্টার জন্য যুদ্ধ বন্ধ থাকবে। এছাড়া ইসরাইলের কারাগারে থাকা কয়েকজন ফিলিস্তিনিকেও মুক্তি দেয়া হবে।
ওয়াশিংটনভিত্তিক অ্যাক্সিয়সে বলা হয়েছে, এই মিনি চুক্তির পর মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্র ২৮ দিনের আরেকটি চুক্তি করার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ সময় আট পণবন্দীকে মুক্তি দেয়া হবে।
এছাড়া এক মার্কিন কর্মকর্তা জানান, হিজবুল্লাহর সাথেও যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে হামাস ও হিজবুল্লাহর সাথে যুদ্ধবিরতি হবে পৃথকভাবে।
সূত্র : জেরুসালেম পোস্ট