রাশিয়ার সঙ্গে কোনো আপসে প্রস্তুত নয় ইউক্রেন। এমনটাই জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের চিফ অব স্টাফ আন্দ্রেই ইয়ারমাক। এমনকি যুদ্ধের অবসান ঘটাতে কোনো অঞ্চল ছেড়ে দিতেও ইউক্রেন রাজি নয় বলে জানিয়েছেন তিনি। বুধবার তাসের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স¤প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে দ্রæত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করবেন। ট্রাম্পের ঘোষণার বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘যুদ্ধে কীভাবে ন্যায়সংগত শান্তি অর্জন করা যায়, সে বিষয়ে কিয়েভ যে কোনো পরামর্শ শুনতে রাজি। তবে আমরা মূল্যবোধ, স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, আঞ্চলিক অখণ্ডতাসহ সার্বভৌমত্বের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কোনো ছাড় দিতে প্রস্তুত নই।’ আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটনে ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে প্রাধান্য পাবে ইউক্রেন যুদ্ধ। এ বিষয়টিকে সামনে রেখেই যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন ইয়ারমাক।
গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত প্রথম প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কের সময় বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে চ্যালেঞ্জ করে রিপাবলিকান প্রার্থী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, তিনি নভেম্বরে পুনর্র্নিবাচিত হলে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে দায়িত্ব গ্রহণের আগেই ইউক্রেনের যুদ্ধের অবসান ঘটাবেন। তবে তিনি কীভাবে এটি করবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত কোনো রূপরেখা দেননি। তবে গত সপ্তাহে রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ট্রাম্পের দুই উপদেষ্টা তাকে এ বিষয়ে একটি পরিকল্পনা দিয়েছেন।
এদিকে ইউক্রেনে হামলা অব্যাহত রেখেছে রাশিয়া। বুধবার ইউক্রেনের দিনিপ্রোতে রাশিয়ার ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পাঁচজন নিহত ও ৪৭ জন আহত হয়েছেন। দেশটির কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। তাদের পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি আমার সমবেদনা। এ ছাড়া এক শিশুসহ ৪৭ জন আহত হয়েছেন।’ আঞ্চলিক গভর্নর সের্গেই লাইসাক এর আগে হামলাটিকে ‘দুর্ঘটনা’ বলে বর্ণনা করেছিলেন। হামলায় আহতদের মধ্যে ১৪ বছর বয়সি একটি মেয়েও রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ইউক্রেনীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হামলার ফুটেজে শহরে কালো ধোঁয়া উড়তে এবং মানুষকে গাড়ি নিয়ে দ্রæত পালাতে দেখা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ হামলার কারণে জেলেনস্কি তার মিত্রদের কাছে আরও দূরপাল্লার অস্ত্র সরবরাহের আহŸান জানিয়েছেন। যা দ্বারা দেশটির বিমান প্রতিরক্ষা জোরদার ও রাশিয়ার হামলাকে নস্যাৎ করতে পারবে। এএফপির তথ্যানুসারে, রুশ বাহিনী দুই বছর আগে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এই শিল্প শহর ও আশপাশের অঞ্চলে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার এসব হামলা বন্ধ করতে ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা আরও জোরদার ও দূরপাল্লার অস্ত্রের প্রয়োজন।