গত ৬ জুলাই ২০২৪ইং শনিবার লং আইল্যান্ডের হেকশেয়ার স্টেট পার্ক-এর টেলর প্যাভিলিয়নে সম্মিলিত বরিশাল বিভাগবাসী ইউএসএ ইন্ক-এর বার্ষিক বনভোজন ২০২৪ ইং অত্যন্ত সুন্দর ও সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয় । সকাল ১০:০০ ঘটিকায় বনভোজন কমিটির কর্মকর্তারা, অতিথিগন সহ প্রায় ৩ শতাধিক মানুষ তাদের নিজ নিজ গাড়ি নিয়ে বনভোজন স্থলে উপস্থিত হন। এর পর-পরই জ্যাকসন হাইটস্ এর ঢাকা গার্ডেন রেষ্টুরেন্টের তৈরী সু-স্বাদু ব্রেকফাষ্ট বনভোজনের অতিথিদের মাঝে বিতরন করা হয়। ব্রেকফাষ্টে পরাটা, হালুয়া, ভাজি, কলা, জুস, পানি, সোডা প্রদান করা হয়। ফয়েল ট্রেতে করে গরম গরম ব্রেকফাষ্ট সার্ভ করা হয়। বাচ্চাদের জন্য চিপস ও জুস প্রদান করা হয়।
সকালের নাস্তা খুবই মুখরোচক ও সুস্বাদু ছিল । পর্যাপ্ত পরিমানে নাস্তা ছিল, সবাই ইচ্ছা মাফিক নিজ হাতে তুলে নিয়ে খেতে পেরেছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমিতির বর্তমান সভাপতি-এম.এ. সালাম আকন্দ, সঞ্চালনায় ছিল বর্তমান সাধারন সম্পাদক-লস্কর মাইজুর রহমান জুয়েল।
বনভোজনের আহ্ববায়ক ছিলেন কাজী রবি-উজ-জামান (প্রচার সম্পাদক)-সম্মিলিত বরিশাল বিভাগবাসী ইউ.এস.এ ইনক্। যুগ্ন আহ্ববায়ক: আমিনুল হাওলাদার। প্রধান সমম্বয়কারী: জসিম চৌধুরী। সমন্বয়কারী: কামরুজ্জামান বাচ্চু। সদস্য সচিব: মোঃ হাসান মাহমুদ। যুগ্ন-সদস্য সচিব: প্রফেসর জসিম উদ্দিন, সেন্টজন ইউনিভারসিটি। সাংগঠনিক সম্পাদক: ফয়সাল আহমেদ। বনভোজনের সার্বিক তত্তাবধানে ছিলেন: ডা. আব্দুস সবুর ও মামুনুর রশিদ, সমিতির নীতি নির্ধারক। শুভেচ্ছা বক্তব্য ও বনভোজনের শুভ উদ্বোধনঃ প্রথমে সংক্ষিপ্ত শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত বরিশাল বিভাগবাসী ইউএসএ ইনকের বর্তমান সভাপতি-এম.এ. সালাম আকন্দ।
তিনি তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে বনভোজনের সকল অতিথিদের বনভোজনে অংশ গ্রহণের জন্য শুভেচ্ছা জানান এবং বনভোজনের সকল আনন্দ সবাই মিলে একত্রে উপভোগ করার আহবান জানান। শুভ-উদ্বোধনঃ বনভোজনের শুভ উদ্বোধন করেন বনভোজনের প্রধান অতিথি ডাঃ রুমানা সবুর এমডি এবং প্রফেসর ইন্টার্নাল মেডিসিন। তিনি বলেন, আমি প্রধান অতিথি হতে চাইনা, আমি আপনাদের মত একজন অতিথি এবং আপনাদের সাথে মিলে মিশে একত্রে বনভোজনের আনন্দ উপভোগ করতে চাই। তিনি সবাইকে সম্মিলিত বরিশাল বিভাগবাসীর বনভোজনে অংশ গ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানান। এর পর তিনি বেশ কয়েকজন সদস্যকে সমিতির মনোগ্রাম সম্বলিত এবং বনভোজন-২০২৪ লিখিত টি-শার্ট পরিয়ে বনভোজনের কার্য্যক্রম শুরু করেন। তার পরই শুরু হয় খেলাধুলার পর্ব। ক্রিয়া পরিচালনা করেন : কবি সুধাংশু কুমার মন্ডল, নাসির উদ্দিন, মোস্তাক চৌধুরী, ডা. রুমানা সবুর, মিসেস সভাপতি-কামরুন নাহার, শিরিন আক্তার, ফয়সাল আহমেদ, হাসান মাহমুদ, রুবেল, নূরে-ই-আলম মিলন, জালাল কমিশনার প্রমূখ।
বালকদের দৌড়: (৫-৭ বছর) : প্রথম হয়েছে: মোঃ ফাইয়াজ, ২য়: ইয়াদ, তৃতীয়: আজওয়াদ।
বালিকাদের দৌড় (৫-৭ বছর) : প্রথম: রুবাইয়া, ২য় : আরিশা, তৃতীয়: নূহা। বালকদের দৌড় (৮-১০ বছর) : প্রথম: রাইয়ান, দ্বিতীয়: আয়ান, তৃতীয়: তাওরাত। বালিকাদের দৌড় (৮-১০ বছর) প্রথম: আফিয়া, দ্বিতীয়: সাজানা, তৃতীয়: জোবায়ারা বালকের দৌড় (১১-১৪ বছর) প্রথম ইয়াসিন, দিত্বীয় মুহাইমিন, তৃতীয় আমিন। বালিকা দৌড় (১১-১৪ বছর) : প্রথম সুরভী, দিত্বীয় রাহি, তৃতীয় মিতিশা। পুরুষ: বল নিক্ষেপ (১৮ থেকে উর্দ্ধে): প্রথম সুধাংশু কুমার মন্ডল, দিত্বীয় সাইফুল ইসলাম, তৃতীয় হাসান মাহমুদ। নারীদের বালিশ খেলা (১৪ থেকে উর্দ্ধে): প্রথম ডালিয়া, দিত্বীয় মনিরা, তৃতীয় শিউলি। পুরুষ: ফুটবল খেলা (১৪ থেকে উর্দ্ধে): রেফারীঃ কবি সুধাংশু কুমার মন্ডল, ল্যাইসম্যান: মোস্তাক চৌধুরী ও কাজী রবিউজজামান। (ক) সাদা দল: শামীম, নাফশান, আনিস, মনির, আজমল, হাসান মাহমুদ, কামরুল হাসান, রুবেল, রাফি, হানিফ, ইয়াসিন। (খ) হলুদ দল: ফয়সাল, আমিনুল, কামাল, মোস্তফা, ফারুক, ইমরান, সাইফুল, রেজবী, কামরুজ্জামান বাচ্চু, হুমায়ুন, মহাসিন।
আপ্যায়নে: ঝাল মুড়ি: এমএসটি নাহার লাকী– অত্যন্ত সুন্দর মুখরোচক ঝালমুড়ি বানিয়ে সকলের প্রসংসা কুড়িয়েছেন। চা-চক্র: ওহাব পাটোয়ারীর চা ছিল স্নাক পর্বের প্রিয় ও সু-স্বাদু তাকে সহযোগিতা করেছেন: লাকী আক্তার, মাইজুর রহমান লস্কর জুয়েল, রুবেল, জাফর তালুকদার, কামরুল হাসান, ফয়সাল, আমিনুল হাওলাদার। বিশেষ বক্তাঃ প্রধান অতিথীঃ ডা: রুমানা সবুর এমডি, সার্বিক সহযোগীতায়ঃ কামরুন নাহার, সবিতা দাস। উপস্থিত বক্তব্য রাখেন- ডাঃ আব্দুস সবুর সাবেক সভাপতি ও নীতি নির্ধারক কামরুজ্জামান বাচ্চু ভাইস প্রেসিডেন্ট আনিসুর রহমান- হাউজিং কর্মকর্তা।
মিসেস শীরিন আক্তার, কালেকটি একাডেমি মামুন উর রশিদ- নীতি নির্ধারক। প্রফেসর মোঃ জসীম উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মাদ মহাসিন শফিকুল রহমান (সাবেক চেয়ারম্যান), বাকেরগঞ্জ মোস্তাক চৌধুরী (সাবেক চেয়ারম্যান) জাগুয়া, ইঞ্জিনিয়ার: আব্দুল খালেক। কার্যকরী কমিটির সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- কামরুজ্জামান বাচ্চু, সহ-সভাপতি আব্দুর রব হাওলাদার, সহ-সভাপতি, ফয়সাল আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক, সাইফুল ইসলাম, প্রকাশনা সম্পাদক, সুধাংশু কুমার মন্ডল, সহ- সাহিত্য সম্পাদক, কাজী রবিউজ্জামান, প্রচার সম্পাদক প্রমুখ, আমিনুল হাওলাদার, জসীম উদ্দিন-উপদেষ্টা। সাউন্ড সিসটেমঃ মোঃ ফিরোজ আহমেদ। সংগীত শিল্পী সবিতা দাস, অরুনা সাহা, রুনা রয়, মধু রয়, রুমা আক্তার প্রমুখের মনমুগ্ধকর গানে দর্শকের বেশ আকৃষ্ট করেছে। র্যাফেল ড্র এর আকর্ষনীয় পুরস্কারের মধ্যে ছিল ১ম পুরস্কারঃ ডায়মন্ড নেকলেস, স্পন্সর করেছেন মিসেস শীরিন আক্তার-কালেকটিভ একাডেমি, ২য় পুরস্কারঃ ৫৫ এলইডি টিভি শাহ নওয়াজ, গোল্ডেন হোম কেয়ার, ৩য় পুরুষ্কারঃ ৪৩; এলইডি টিভি, নুরু বেপারী, অটো শপ – ৬০ স্টীট এন্ড ৩৭ এভিনিউ, ৪র্থ পুরুষ্কারঃ এয়ার ফ্রাইয়ার, ৫ম পুরুস্কারঃ টাওয়ার ফ্যান, সৌজন্যে: সম্মিলিত বরিশাল বিভাগবাসী ইউএসএ ইন্ক, ৬ষ্ঠ পুরস্কার: লাস্কো সুপার ফ্যান, সৌজন্যে: সৗজন্যে: সম্মিলিত বরিশাল বিভাগবাসী ইউএসএ ইন্ক, ৭ম পুরস্কার: টাওয়ার ফ্যান, সৌজন্যে: সৌজন্যে: সবিতা দাশ, ৮ম পুরস্কার: মাইক্রোওভেন, সৌজন্যে: রাব্বি- হিলসাইড এভিনিউ, ৯ম পুরস্কার: প্রেশার কুকার, মান্নান সুপারমার্কেট, হিলসাইড এভিনিউ, ১০ম পুরস্কার: মিনি রেফ্রিজেরেটর, সৌজন্যে: জসীম চৌধুরী, ১তম পুরুষ্কার: ডিনার সেট, সৌজন্যে: মান্নান সুপারমার্কেট, জ্যকসন হাইটস। র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠানে ডা: আব্দুর সবুর, মামুনুর রশীদ, সালাম আকন্দ, হাছান মাহমুদ, ফয়সাল আহমেদ, সবিতা দাশ, জুয়েল লস্কর, কাজী রবিউজ্জামান, কামরুজ্জামান বাচ্চু প্রমুখ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। সর্বশেষে সভাপতি এম এ সালাম আকন্দের সমাপনি বক্তব্যের মাধ্যমে বনভোজনের কার্যক্রমের পরিসমাপ্তি ঘটে।