সিরিয়ার বর্তমান প্রশাসনের নিরাপত্তা বাহিনী সাথে দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি উপকূলীয় এলাকায় ক্ষমতাচ্যুত আসাদ সরকারের অনুগত যোদ্ধাদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষে ৭০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষের পর শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সেখানে কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে সিরিয়া-ভিত্তিক বার্তাসংস্থা স্টেপ জানিয়েছে, সরকার-সমর্থিত বাহিনী প্রায় ৭০ জন আসাদ অনুগত যোদ্ধাকে হত্যা করেছে এবং জাবলেহ ও এর আশপাশের এলাকায় ২৫ জনেরও বেশি যোদ্ধাকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপি একটি যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, সংঘর্ষে মোট ৪৮ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৬ জন সরকারি নিরাপত্তা কর্মী, ২৮ জন আসাদপন্থী যোদ্ধা এবং চারজন বেসামরিক নাগরিক রয়েছে।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা সানা জানিয়েছে, সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করে সৈন্যরা জাবলেহ শহরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
গত ডিসেম্বরে বাশার আল-আসাদের পতনের পর থেকে সিরিয়ার সরকারের সাথে যুক্ত বাহিনীর ওপর এটি সবচেয়ে সহিংস হামলার মধ্যে একটি। আলাউই সম্প্রদায়ের প্রাণকেন্দ্র ও আসাদ পরিবারের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত উপকূলীয় এলাকাগুলোতে সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে।
এছাড়াও হোমস ও আলেপ্পো শহরেও সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।
সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কর্নেল হাসান আব্দুল গনি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের মাধ্যমে লাতাকিয়ায় লড়াইরত আসাদের অনুগতদের প্রতি একটি সতর্কবার্তা জারি করেন।
তিনি বলেন, ‘হাজার হাজার মানুষ অস্ত্র সমর্পণ করে তাদের পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আবার কেউ কেউ খুনি ও অপরাধীদের রক্ষায় পালিয়ে যেতে ও মৃত্যুর মুখোমুখি হতে জোর দিচ্ছে। আপনাদের দু’টি পথ রয়েছে। হয় অস্ত্র রেখে দিন, নয়তো অনিবার্য পরিণতির মুখোমুখি হন।’
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান আহমেদ আল-শারার জন্য এই অঞ্চলটি একটি বড় নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি দক্ষিণেও প্রতিরোধের মুখোমুখি হচ্ছেন। সেখানে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ড্রুজ বাহিনীর সাথে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ হয়েছে।
সূত্র : বিবিসি